বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০

  •    
  • ২২ মার্চ, ২০২২ ১৫:৫৯

ওসি মনসুর আহমেদ জানান, শেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া শেষে বিএনপির নেতারা চলে যাওয়ার পথে ডিসি গেইটের রাস্তায় দুই গ্রুপের মাঝে এ সংঘর্ষ হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে শেরপুর জেলা বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হন ১০ জন।

পৌর শহরের ডিসিগেইট মোড়ে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়।

শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত আলী ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম মাসুদের সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

জেলা বিএনপির সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হযরত আলী ও শফিকুল ইসলাম মাসুদ গ্রুপের মধ্যে দলীয় কোন্দল চলছিল। এরই অংশ হিসেবে দুপুরে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক চত্বরে যান।

এ সময় আরেকটি গ্রুপ আসার সঙ্গে সঙ্গেই হাতাহাতি শুরু হয় সমর্থকদের মাঝে। পরে সিনিয়র নেতাদের সহযোগিতায় হাতাহাতি বন্ধ হলে জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের হাতে স্মারকলিপি দেন তারা।

স্মারকলিপি দেয়া শেষে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যান।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী জানান, ইতোপূর্বে মাসুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রে পত্র পাঠানো হয়েছে। ক্ষুব্ধ হয়ে আমার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘সামনের সারিতে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’

এ ঘটনায় শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাবো। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ ব্যাপারে ওসি মনসুর আহমেদ জানান, শেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া শেষে বিএনপির নেতারা চলে যাওয়ার পথে ডিসি গেইটের রাস্তায় দুই গ্রুপের মাঝে বাকবিতণ্ড শুরু হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যান।

এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলেও জানান ওসি।

এ বিভাগের আরো খবর