বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘোড়ার নামই টাইগার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ মার্চ, ২০২২ ২৩:০১

অন্য প্রাণীর তুলনায় ঘোড়া বিক্রির কৌশল কিছুটা আলাদা দেখা গেল। একটি খোলা মাঠে ঘোড়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ক্রেতাকে দেখানো হয় দৌড়। প্রাণীগুলোর বুদ্ধিমত্তা ও দৌড় দেখার পর দরদাম ঠিকঠাক করে ক্রেতা ও বিক্রেতা। 

করোনার কারণে দুই বছরের বিরতির পর জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী গোপিনাথপুরের মেলা। লোকমুখে প্রচলিত আছে, পাঁচ শ বছর ধরেই সেখানে এমন আয়োজন হয়ে আসছে।

মেলায় জমে উঠেছে ঘোড়া ও মহিষের হাট। আশপাশের নানা জেলা থেকে এই দুটি প্রাণী ছাড়াও আসতে শুরু করেছে ভেড়া, গরুসহ নানা প্রাণী।

পছন্দের প্রাণীকে পেতে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে চলছে দর-কষাকষি।

শিশুদের খেলনা, মিঠাই-মিষ্টান্ন, গৃহকাজে ব্যবহার্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তো আছেই, সেই সঙ্গে আছে নাগরদোলায় চড়ার আনন্দ।

মেলাটি দোলপূর্ণিমার দিন অর্থাৎ গত শুক্রবার শুরু হয়েছে। চলবে ১৩ দিন। তবে মেলা শুরুর পাঁচ দিন গরু, মহিষ ও ঘোড়া বিক্রি হয়।

যেসব ঘোড়া আনা হয়েছে বিক্রির জন্য, সেগুলোকে আদর করে নানা নামে ডাকেন এর মালিকরা। টাইগার, বাহাদুর, রাজা, রাণীসহ আরও নানা নামের ঘোড়া দেখা গেল মেলায়।

ঘোড়া বিক্রি যেভাবে

অন্য প্রাণীর তুলনায় ঘোড়া বিক্রির কৌশল কিছুটা আলাদা দেখা গেল। একটি খোলা মাঠে ঘোড়া নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ক্রেতাকে দেখানো হয় দৌড়। প্রাণীগুলোর বুদ্ধিমত্তা ও দৌড় দেখার পর দরদাম ঠিকঠাক করেন ক্রেতা ও বিক্রেতা।

ঘোড়া কিনতে এসেছিলেন গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ইব্রাহিম হোসেন। তিনি জানান, সকাল থেকেই বেশ কয়েকটি ঘোড়া দেখেছেন। পছন্দও হয়েছে একটি। দামে মিললে কিনে নিয়ে যাবেন।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ফিরোজ কবির এসেছেন ঘোড়া বিক্রি করতে। তার ঘোড়াটির দাম উঠেছে ৬৫ হাজার টাকা। কিন্তু ৯০ হাজারের কমে তিনি বেচবেন না। জানান, এই ঘোড়াটা বিক্রি হলে আরও দুটি নিয়ে আসবেন।

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনাথ ব্যাপারী তার সবচেয়ে পছন্দের ঘোড়ার দাম হেঁকেছেন ২ লাখ টাকা। দাম উঠেছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

মেলা কমিটির প্রধান ও গোপিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, ‘দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে এই মেলা ১৩ দিন স্থায়ী হয়। এর মধ্যে ৭ দিনই থাকে ঘোড়া ও গবাদিপশুর হাট। বাকি দিনগুলো থাকে জামাই-মেয়েদের পদচারণ। সেই কয়েক দিন মেলায় বসে হরেক রকমের দোকান। এ ছাড়া থাকে শিশুদের মন জয় করা নাগরদোলা, চড়কিসহ বিভিন্ন ধরনের খেলা। সব মিলিয়ে আনন্দেই কাটে ১৩ দিন।

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভুঞা বলেন, মেলার নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পোশাকধারীর পাশাপাশি আছে সাদা পোশাকের কর্মী।

এ বিভাগের আরো খবর