সরকারি ভর্তুকির ৭০ মেট্টিক টন টিএসপি সার নকল সন্দেহে জব্দ করা হয়েছে যশোরে। তিন সদস্যের কমিটি ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে।
চট্টগ্রামের ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) কমপ্লেক্স থেকে গত বৃহস্পতিবার যশোরে পাঠানো এ সারের চালান পথে বদলে ফেলা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় যশোরের বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) বাফার গুদাম কর্তৃপক্ষ সারের চালানটি ঢুকতে দেয়নি গুদামে।
যশোর বাফার গুদাম ইনচার্জ আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের টিএসপি কমপ্লেক্স থেকে পাঁচ ট্রাক সার এসেছে। সন্দেহ হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তা জানালে আপাতত সার খালাস না করার নির্দেশ মিলেছে।
‘টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে কয়েকজন কর্মকর্তা রোববার যশোরে এসে জব্দ করা সারের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। চট্টগ্রামের সার কারখানায় তা পরীক্ষা করা হবে। ফলাফল জানা যাবে দু-এক দিনের মধ্যে।’
বাফার গুদামের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘টিএসপি কমপ্লেক্স থেকে যে সার যশোর পৌঁছেছে তা আসল সার নয়। ট্রাকে থাকা সারের বস্তার সেলাই টিএসপির সেলাইয়ের মতো নয়। পথে সার পাল্টে বস্তাগুলো ফের সেলাই করা হয়েছে। বস্তায় ডাবল সেলাই স্পষ্ট।’
রোববার টিএসপি কমপ্লেক্সের উপপ্রধান রাসায়নবিদ রেজাউল হকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা গুদাম পরিদর্শন ও নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তারা ট্রাভেল এজেন্সির কাগজপত্র যাচাই করছেন।
তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য বিসিআইসি উৎপাদন বিভাগের ব্যবস্থাপক শফিকুল কবির বলেন, ‘যশোর বাফার গুদামে পাঠানো সারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তা পরীক্ষা করে নকল প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পরিবহন ঠিকাদার আহসান হাবীব বলেন, ‘সার বদলে ফেলার প্রশ্নই ওঠে না। নকল সন্দেহে যশোরে পাঁচটি ট্রাক আটকানো হয়েছে। বিসিআইসি কমিটি করেছে, তারা তদন্ত করে দেখতে পারে।’
তদন্ত কমিটির আরেক সদস্য বিসিআইসি বিপণন বিভাগের উপপ্রধান হিসাবরক্ষক নির্মল দত্ত বলেন, ‘আমরা যশোর বাফার গুদামে নকল সার সরবরাহের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তিন সদস্যের কমিটি হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিটি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছে।’