পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের আয় কমার পর লভ্যাংশ কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে।
আগের বছর ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি এবার দিতে চাইছে ১০ শতাংশ। গত বছর লভ্যাংশ ছিল বোনাস শেয়ার, এবার দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে নগদে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারপ্রতি পাবেন ১ টাকা করে।
গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের হিসাব পর্যালোচনা করে সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হিসাব অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৩ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল ৪ টাকা ৪৮ পয়সা।
ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ দেখানো হয়েছে ২৫ টাকা ২৫ পয়সা। আগের বছরের ডিসেম্বর শেষে সম্পদ দেখানো হয় ২৬ টাকা ৬২ পয়সা, যা বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর হয় ২২ টাকা ১৮ পয়সা।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে চান, তাদের আগামী ২৮ এপ্রিল শেয়ার ধরে রাখতে হবে। অর্থাৎ সেদিন হবে লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেন। লভ্যাংশ চূড়ান্ত করতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা ডাকা হয়েছে আগামী ২৬ জুন।
২০২০ সাল থেকে কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়তে থাকে অস্বাভাবিক হারে। ২০২০ সালের ৩১ মে শেয়ারদর ছিল ৩৭ টাকা ৯০ পয়সা। ১৮ অক্টোবর তা ছাড়ায় ১৬০ টাকা। সেখান থেকে টানা কমতে কমতে এখন দর দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা ৮০ পয়সা।
আবার দর যখন বাড়ছিল, তখন কোম্পানিটির বিপুল পরিমাণ শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এক দিনে ২৩ থেকে প্রায় ২৬ লাখ পর্যন্ত শেয়ার হাতবদলের ঘটনাও আছে। সেটি এখন নেমেছে তলানিতে। গত এক মাসে সর্বোচ্চ শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৪টি। সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে ২১ হাজার ৮৩৪টি।
শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কাজ করেছে নানা গুজব, যার একটি হলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএর নানা উদ্যোগে বিমা কোম্পানিগুলোর আয় ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবে।
গত বছর প্যারামাউন্টের আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল বেশ ভালো। ২০১৯ সালে সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ১৭ পয়সা আয় করা কোম্পানিটি ২০২০ সালে সমাপ্ত অর্থবছরে আয় দেখায় ৫ টাকা ৩৮ পয়সা। ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয় হওয়ার পর তা দাঁড়ায় ৪ টাকা ৪৮ পয়সা।
বোনাস শেয়ার যুক্ত হওয়ার পরও ২০২১ সালে কোম্পানিটির আয় প্রথম দুই প্রান্তিকে বেশ বেড়েছিল। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে এসে আয় অনেকটাই কমে যায়।
তিন প্রান্তিক মিলে কোম্পানিটি যত আয় দেখিয়েছিল, চূড়ান্ত আয় কম হলো তার চেয়ে। গত সেপ্টেম্বরে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিক শেষে শেয়ারপ্রতি ৩ টাকা ৮ পয়সা আয় দেখায় কোম্পানিটি। অর্থাৎ চতুর্থ প্রান্তিক শেষে তার চেয়ে ৫ পয়সা আয় কম দেখানো হয়েছে।