বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১২ বাসে আগুন: নেপথ্যে ‘ঋণ মওকুফ ও বিমা সুবিধা আদায়’

  •    
  • ২১ মার্চ, ২০২২ ১৯:১১

গত ১২ মার্চ রাত ১টার দিকে বাসগুলোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যেই ১২টি বাস পুড়ে যায়। ঢাকার কাফরুল থানায় সিআইডির করা ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় জব্দ হওয়া বাসগুলো ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের হেফাজতে ছিল।

ইন্স্যুরেন্সের ক্ষতিপূরণ আদায় ও ব্যাংকঋণের দায় থেকে অব্যাহতি পেতে ফরিদপুরের ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় জব্দ হওয়া ১২টি বাসে আগুন দেয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় হওয়া একটি মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) জামাল পাশা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই তিনজনকে শহরের গোয়ালচামটে হেলিপোর্ট বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন পশ্চিম গোয়ালচামটের ২ নম্বর সড়ক এলাকার বাসিন্দা ২৪ বছরের জহুরুল ইসলাম জনি, একই এলাকার ২১ বছর বয়সী পারভেজ মৃধা ও নগরকান্দার লস্করদিয়ার গোড়াইল গ্রামের ৪১ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলী।

জামাল পাশা বলেন, ‘বাস পোড়ানোর ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জনি ও মোহাম্মদ আলী ঘটনার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। বিকেলে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য ১ নম্বর আমলি আদালতে পাঠানো হয়।’

পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার জহুরুল ইসলাম জনি পুড়ে যাওয়া বাসগুলো দেখাশোনা করতেন আর মোহাম্মদ আলী সেখানকার নৈশপ্রহরী ছিলেন।

গত ১২ মার্চ রাত ১টার দিকে বাসগুলোয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মাত্র ১ ঘণ্টার মধ্যেই ১২টি বাস পুড়ে যায়। ঢাকার কাফরুল থানায় সিআইডির করা ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় জব্দ হওয়া বাসগুলো কোতোয়ালি থানা পুলিশের হেফাজতে ছিল।

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন এসআই আব্দুল গাফফার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই ফরহাদ হোসেন।

এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমদাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ইমদাদুল হক জানান, বাসগুলো বিভিন্ন কোম্পানির ইন্স্যুরেন্স করা এবং ব্যাংকে দায়বদ্ধ ছিল।

তিনি বলেন, ‘এখনই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো যাচ্ছে না। তদন্ত কমিটিকে ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে তদন্ত সম্পন্নের জন্য। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পুলিশের কর্মকর্তারা

সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন কর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ফরিদপুরের সাউথ লাইন নামে পুড়ে যাওয়া ওই বাসগুলো অর্থ পাচার মামলায় গ্রেপ্তার শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের মালিকানাধীন। ২০২০ সালের ৭ জুন পুলিশের অভিযানে বরকত-রুবেল গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশে দুদক এসব বাস জব্দ করে। এর পর থেকে সেগুলো এখানেই রাখা ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর