বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫ কিলোমিটার যেতে ২ ঘণ্টা

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২২ ১৩:২২

দেওয়ান পরিবহনের বাসের সহকারী আব্দুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, শাহবাগ থেকে মহাখালী রেলগেট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার আসতে সময় লেগেছে ১ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট।

তিন দিনের ছুটি শেষে প্রচণ্ড যানজটের শঙ্কা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন রাজধানীবাসী। তাদের সে শঙ্কা সত্যি হয়েছে। মার্চে যানজটময় আরও একটি দিন দেখল ঢাকার বাসিন্দারা।

অফিস শুরুর দিন রোববার রাজধানীর যানজট পরিস্থিতি নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের সঙ্গে। তাদের একজন দেওয়ান পরিবহনের বাসের সহকারী আব্দুর রহমান।

জটে ভোগান্তি নিয়ে তিনি নিউজবাংলাকে জানান, আজিমপুর থেকে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত যাবে বাসটি। শাহবাগ পর্যন্ত আসার পর প্রচণ্ড যানজটে পড়ে এটি।

আব্দুর রহমান জানান, শাহবাগ থেকে মহাখালী রেলগেট পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার আসতে সময় লেগেছে ১ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট।

তিনি আরও জানান, দেওয়ান পরিবহনের বাসটি শাহবাগ থেকে রওনা হয়েছিল ৮টা ৪৫ মিনিটে। এটি ১০টা ৪৪ মিনিটে মহাখালী রেলগেটে পৌঁছায়।

‘কাওরান বাজার থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি জ্যাম লাগছে। এই সময় গাড়ি লড়েই না। দেড় ঘণ্টা লাগছে এইডু আইতে’, বলেন আব্দুর রহমান।

শুধু দেওয়ান পরিবহন নয়, রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাসগুলোকে যানজট ঠেলে যেতে হয়েছে গন্তব্যে। যাত্রীদের কেউ হেঁটে, কেউ আবার দুই-তিনবার গণপরিবহন পরিবর্তন করেও স্বস্তি পাননি।

রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের বাসিন্দা অপূর্ব রায় চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার বাসে শনির আখড়া পৌঁছান সোয়া ৭টার দিকে। সেখান থেকে যাত্রাবাড়ী আসতে সময় লাগে ১ ঘণ্টারও বেশি।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জ্যাম দেখে যাত্রাবাড়ী থেকে বাস পরিবর্তন করে লাব্বাইকে উঠি পৌনে ৯টায়। সেখান থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত আসতে বাইজা গেছে ৯টা ৫৬ মিনিট। জ্যাম দেখে আবার বাস চেঞ্জ করে আরেক বাসে উঠি।’

পল্টনগামী নাখালপাড়ার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা রাস্তায় বেরিয়ে দেখেন প্রচণ্ড যানজট। তিনি নাবিস্কো মোড় থেকে সাত রাস্তা পর্যন্ত হেঁটেই পাড়ি দিয়েছেন।

নিউজবাংলাকে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘রাস্তায় প্রচুর জ্যাম। তাই হেঁটেই অনেক দূর আগালাম। জ্যাম থাকলে প্রতিদিনই এমন হেঁটেই যাই।’

কমলাপুর থেকে চিড়িয়াখানাগামী বিজয় এক্সপ্রেসের বাসের সহকারী মো. শুভ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জ্যামের কথা কী কমু? সকাল সাড়ে আটটায় কমলাপুর থেইক্কা গাড়ি ছাড়ছি। এহন দুই ঘণ্টায় নাবিস্কো আইছি। মগবাজার, মালিবাগ পুরাটাই জ্যাম।’

এ কথাগুলো যখন শুভ বলছিলেন, তখন মহাখালী, নাবিস্কো, তিব্বত, সাতরাস্তাজুড়ে ছিল প্রচণ্ড যানজট।

গাজীপুর থেকে সায়েদাবাদগামী বলাকা সার্ভিসের সহকারী হোসেন জানান, সকাল ৭টায় গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বাসটি ছাড়ে। সেখানে নাবিস্কো বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার পথ আসতে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে বাসটির। টঙ্গী, উত্তরা, বনানীতে যানজটে বেশি সময় ব্যয় হয়।

ব্যতিক্রম চিত্রের কথাও জানিয়েছেন কেউ কেউ। রাজধানীর শাহীনবাগের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম রিপন সেখান থেকে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেলে ২০ মিনিটে ঝামেলা ছাড়াই ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে পৌঁছে যান।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হাসনাত নাঈমের অবশ্য ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। রামপুরা বনশ্রী ইউলুপ ঘুরতেই তার ব্যয় করতে হয়েছে ২৫ মিনিট।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে নয়টা বাজে তখন, প্রেস ক্লাব যাচ্ছিলাম। পথে আবার মালিবাগ মোড়েও জ্যাম পাইছি।’

রাজধানীর কারওয়ানবাজার মোড়ে কথা হয় মিরপুর থেকে যাত্রাবাড়ীগামী খাজা পরিবহনের সহকারী মো. সোহেলের সঙ্গে।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মিরপুর-১২ থেকে ৯টার দিকে বাইর হইছি। কাজীপাড়া থাইক্কা আগারগাঁও পর্যন্ত জ্যাম। আবার খামারবাড়ি থাইক্কা কাওরানবাজার। আড়াই ঘণ্টা হইয়া গেছে। এই সময়ে এতটুক আইছি।’

ঢাকার যানজট নিরসন নিয়ে গত শনিবার উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থা সিটি করপোরেশনে দিলে গাড়ির নম্বর প্লেটের নম্বরটি জোড় না বিজোড়, সেই ভিত্তিতে রাজধানীর রাস্তায় গাড়ি নামাবেন গাড়ির মালিকরা।

‘নম্বর প্লেটে যাদের জোড় সংখ্যা রয়েছে, তারা জোড় তারিখের দিনে গাড়ি চালাতে পারবেন। পরের দিন চলবে বিজোড় সংখ্যার গাড়ি।’

এ বিভাগের আরো খবর