নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুলছাত্র ইমন হোসেন হত্যা মামলার চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজা দেয়া হয়েছে দুই নারীকে। খালাস দেয়া হয়েছে চারজনকে।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত রোববার দুপুরে আসামিদের এই রায় দেন।মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে নাহিদ হাসান, আহম্মদ আলী, মো. সিরাজ ও সেন্টু মিয়াকে। যাবজ্জীবন সাজা পেয়েছেন মোছা. সালমা ও হোসনে আরা।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবী জেসমিন আহম্মেদ।
তিনি জানান, তথ্যগত ভুলের কারণে প্রথমে হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার কথা জানানো হয়েছিল। তবে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর জানা গেছে, বিচারক চারজনকে ফাঁসি দিয়েছেন।
তিনি জানান, ২০১৩ সালের জুনে ইমন বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয়। এর ৬ দিন পর বক্তাবলি এলাকার পরিত্যক্ত একটি জায়গা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ইমনের বাবা মো. ইসমাইল মামলা করেন। এজাহারে বলা হয়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ইমনকে হত্যা করা হয়। পরে তার মরদেহ ৯ খণ্ড করে ফেলে রাখেন আসামিরা।
সেই মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত সাতজনের ফাঁসির রায় দিয়েছে। খালাস দেয়া হয়েছে তিনজনকে।
১৩ বছরের ইমন ফতুল্লার চরাঞ্চল বক্তাবলীর কানাইনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে দণ্ডিতদের মধ্যে দুজন উপস্থিত ছিলেন। বাকি পাঁচজন পলাতক।