সিটি করপোরেশনের হাতে ট্রাফিক ব্যবস্থা দেয়া হলে ঢাকার যানজট নিরসনে জোড়-বিজোড় নম্বরের ভিত্তিতে গাড়ি চালাতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জোড় তারিখের দিন জোড় নম্বরের গাড়ি, আর বিজোড় তারিখের দিন বিজোড় গাড়ি চলবে।
রাজধানীর উত্তরা সেক্টর-৭-এ শনিবার সকালে ‘বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চ’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আতিক বলেন, ‘ট্রাফিক ব্যবস্থা সিটি করপোরেশনে দিলে গাড়ির নম্বরপ্লেটের নম্বরটি জোড় না বিজোড়— সেই ভিত্তিতে রাজধানীর রাস্তায় গাড়ি নামাবেন গাড়ির মালিকরা। নম্বরপ্লেটে যাদের জোড় সংখ্যা রয়েছে তারা জোড় তারিখের দিনে গাড়ি চালাতে পারবেন। পরের দিন চলবে বিজোড় সংখ্যার গাড়ি।’
এ সময় মেয়র বলেন, ‘রাজধানীর কোন রাস্তায় কী পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে, কোন কোন রাস্তায় বেশি যানজট এসব বিষয়ে গবেষণা করে কার্যকর ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের জন্য সুস্থ-সুন্দর বাসযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। উত্তরা এলাকার শিশু-কিশোরদের মুক্ত চলাচল, আড্ডা, গল্প, গান বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য এই মুক্তমঞ্চটির প্রয়োজন অনুধাবন করেই ডিএনসিসি এটি নির্মাণ করেছে।’
উত্তরা এলাকার শিশু-কিশোরদের সংস্কৃতির বিকাশের জন্য এই এলাকায় শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলা একাডেমির মতো প্রতিষ্ঠানের শাখা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি।
ডিএনসিসি মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে চুমকি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চটি উত্তরা এলাকার শিশু-কিশোরদের মধ্যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। আমি চাই মুক্তমঞ্চটি ভবিষ্যতে আরও প্রসারিত হবে।’
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমানসহ অনেকে।