সিলেট জেলা বিএনপির কাউন্সিল ঘিরে চলছে নেতাকর্মীদের শেষ মুহূর্তের গ্রুপিং-লবিং। কাউন্সিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে। তিন পদের জন্য ১৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
২১ মার্চ জেলা বিএনপির কাউন্সিল নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক উৎসাহ।
বৃহস্পতিবার ছিল তিন পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন। নির্ধারিত সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জেলা বিএনপির কাউন্সিলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল গাফফার নিউজবংলাকে এসব তথ্য জানান।
সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছয়জন। তারা হলেন আলী আহমদ, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মো. আব্দুল মান্নান, কামরুল হাসান চৌধুরী শাহীন, আ ফ ম কামাল ও এমরান আহমদ চৌধুরী।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া চার নেতা হলেন মো. লোকমান আহমদ, এম মুজিবুর রহমান মুজিব, শাকিল মোর্শেদ ও মো. শামীম আহমদ।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, ১৩ নেতার মধ্যে সভাপতি পদে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর প্রার্থী হওয়া নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে। এ নিয়ে বিএনপি ছাড়া অন্য দলেও চলছে আলোচনা। দীর্ঘদিন মহানগর বিএনপির কমিটির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা আরিফুল হক হঠাৎ করে জেলা কমিটির সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় বিস্মিত হয়ছেন দলের অনেক নেতা।
সভাপতি হতে এরই মধ্যে তৎপরতা শুরু করেছেন আরিফুল। আর তাকে ঠেকাতে মাঠে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে দলীয় আরিফবিরোধী বলয়।
বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এ টি এম ফয়েজ উদ্দিন, মইনুল হক চৌধুরী, শাহ নুরুল হুদা ও সামিয়া চৌধুরী।
এ টি এম ফয়েজ জানান, ২১ মার্চ নগরের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জেলা বিএনপির কাউন্সিল ও সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি জানান, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন হবে। বাকি পদগুলো পরে কেন্দ্র থেকে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে দেয়া হবে।
২০১৯ সালের ২ অক্টোবর সিলেট জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে কেন্দ্র থেকে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা হয়েছিল। তখন কামরুল হুদা জায়গীরদারকে আহ্বায়ক করে তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা ছিল। তিন মাসের এ কমিটি এরই মধ্যে আড়াই বছর পার করেছে।