কুষ্টিয়ায় হার্ডিঞ্জ ব্রিজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহবুব আলমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায় তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
মাহবুবের বাবাও জানেন না, ছেলের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে।
ব্রিজের ৬ থেকে ৭ নম্বর গার্ডারের পাশাপাশি দুই রেললাইনের মাঝখান থেকে বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহটি দেখে ব্রিজ পাহারার দায়িত্বে থাকা লোকজন। তারা খবর দিলে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। সেটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত মাহবুব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। থাকতেন মহসীন হলে। তার বাড়ি জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে; বাবা আব্দুল হান্নান মিঠু জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান।
পোড়াদহ রেলওয়ে থানার ওসি মনজের আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রেল পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, বন্ধুদের নিয়ে কুষ্টিয়ায় লালন স্মরণোৎসব দেখতে যাচ্ছিলেন মাহবুব। ঢাকা থেকে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চিত্রা এক্সপ্রেসের ট্রেনে করে তারা রওনা দেন। ধারণা করা হচ্ছে বুধবার রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে। কারণ চিত্রা এক্সপ্রেস ওই সময়ে পাকশি রেল ব্রিজ পাড়ি দেয়।
তিনি আরও জানান, মরদেহের মুখে ও দুই হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। তবে ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যাচ্ছে না বলে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
মাহবুবের সঙ্গে থাকা বন্ধুদেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান এসআই।
নিহতের বাবা আব্দুল হান্নান নিউজবাংলাকে জানান, বন্ধুদের সঙ্গে ছেলে চিত্রা এক্সপ্রেসে লালন আখড়াবাড়ি যাচ্ছেন বলে তিনি জানতেন। সকালে পুলিশের ফোন পেয়ে জেনেছেন যে ছেলে মারা গেছে।
তিনি আরও জানান, মরদেহ নিয়ে জয়পুরহাটের দিকে রওনা হয়েছেন। এখনও ধারণা করতে পারছেন না ছেলের মৃত্যু কীভাবে হলো।
রেল পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে সেটির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত হবে। তবে মাহবুবের সঙ্গে থাকা বন্ধুদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।