নওগাঁর রাণীনগরের বড়গাছা ইউনিয়ন বিএনপির দুটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এরই মধ্যে নতুন অনুমোদন দেয়া কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন ২১ সদস্য।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর রাণীনগর থানা বিএনপির ৫ নম্বর বড়গাছা ইউনিয়নের মহরম আলীকে আহ্বায়ক করে ৩২ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন নেতারা। তবে থানা বিএনপির নেতাদের মতবিরোধের কারণে বেশি দিন সেই কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেনি।
চলতি বছরের ৫ মার্চ আগের আহ্বায়ক কমিটি বহাল রেখে বিকাশ চন্দ্র প্রামাণিককে আহ্বায়ক করে নতুন করে ২৮ সদস্যর কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়।
এ ক্ষেত্রে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া এ কমিটিতে স্থানীয় নেতাদের পছন্দের লোকদের রাখার অভিযোগ উঠেছে।
এ কারণে ওই ইউনিয়নের নেতা-কর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভের।
এ অবস্থায় নতুন কমিটির ২১ সদস্য ১০ মার্চ পদত্যাগপত্র দিয়েছেন থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বরাবর। বুধবার রাতে ২১ জন নেতা-কর্মীর সই করা পদত্যাগপত্র পেয়েছে নিউজবাংলা।
পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে বড়গাছা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাবুল হক বলেন, ‘ওপরের নেতারা তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মতামত যাচাই-বাছাই না করেই আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তাদের ইচ্ছামাফিক বিতর্কিত ব্যক্তিদের যুক্ত করে যখন-তখন কমিটি গঠন করবেন তা মেনে নেয়া যায় না।
‘এসব ঘটনা কখনই দলীয় কর্মকাণ্ডকে চাঙা করতে পারবে না। বর্তমান বিএনপি দল কঠিন ক্রান্তিকাল পার করছে। এ সময় অবশ্যই তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তা না হলে সবাই বিএনপি নামক দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।’
৩২ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মহরম আলী বলেন, ‘আমার কমিটি একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি করছিল। থানা বিএনপির কিছু অসাধু নেতারা সেই কমিটি ঘোষণা করতে দেয়নি।
‘আর আমার কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা না করেই আবার একটি নতুন কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এটি কেমন করে সম্ভব। আমি আর এ ধরনের কর্মকাণ্ডে কখনই নিজেকে জড়াব না।’
এ বিষয়ে থানা বিএনপির আহ্বায়ক রোকনুজ্জামান খান রুকু বলেন, ‘আগের কমিটি ছিল অকার্যকর। তাই ওই ইউনিয়নে দ্রুত একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে নিয়ম মেনে নতুন করে একটি আহ্বায়ক কমিটি অনুমাদন দেয়া হয়েছে।’
থানা বিএনপি দলের গঠনতন্ত্র মেনেই সব কাজ করে আসছে বলে জানান তিনি।