বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুশীল সমাজের ৩০ জনকে নিয়ে ইসির সংলাপ ২২ মার্চ

  •    
  • ১৫ মার্চ, ২০২২ ১৮:৫৬

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথম দফা সংলাপ বিকেলে আয়োজন করায় শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি কম ছিল। তখন অনেকের ক্লাস থাকে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ছিল। এ কারণে দ্বিতীয় দফার এই বৈঠক আগামী মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে শুরু হবে।’

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি নির্ধারণে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই উদ্যোগের প্রথম দফায় দুই-তৃতীয়াংশ আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদ সাড়া দেননি। এর মাঝেই আগামী ২২ মার্চ দ্বিতীয় দফা সংলাপের তারিখ নির্ধারণ করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। দ্বিতীয় ধাপে সুশীল সমাজের ৩০ জন নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় দফার এই বৈঠক আগামী মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে শুরু হবে।’

আউয়াল কমিশন গত ১৩ মার্চ প্রথম সংলাপে ৩০ জন শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৭ জনই সংলাপে অংশ নেননি। দ্বিতীয় দফা সংলাপে এবার সুশীল সমাজের ৩০ জন নাগরিককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে চার নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।

প্রথম দফা সংলাপ সকালে আয়োজন করতে না পারায় শিক্ষকদের উপস্থিতি কম ছিল বলে মনে করেন অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘আয়োজনটা আমরা বিকেলে করেছি। তখন অনেকের ক্লাস থাকে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ছিল। ক্লাস থাকার কারণে পাঁচজন শিক্ষক উপস্থিত হতে পারেননি। এ কারণে এবার সকালে আয়োজন করছি।’

সুশীল সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে কাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘সব শ্রেণীর প্রতিনিধিই রয়েছেন। তারা প্রমিনেন্ট। আপনারা সবাই জানেন-চেনেন এরকম লোকজনই।’

রীতি অনুযায়ী দায়িত্ব গ্রহণ করার পর নবগঠিত কমিশন বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসে। ২০০৮ সালে ইসির নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা এটিএম শামছুল হুদা কমিশন মেয়াদকালে দু’বার সংলাপে বসেছিলেন।

দশম সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা কাজী রকিবুদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বের কমিশনও সংলাপ আয়োজন করেছিল। সদ্য বিদায়ী নূরুল হুদা কমিশনও নির্বাচনী অংশীজনদের নিয়ে সংলাপ করেছিলেন। তবে নবনিযুক্ত হাবিবুল আউয়াল কমিশনের মতো দায়িত্ব নেয়ার প্রথম মাসেই সংলাপে বসেনি কোনো কমিশন।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর এখন পর্যন্ত কমিশনের আনুষ্ঠানিক কোনো সভা হয়নি। কমিশন সভা না করেই নবগঠিত ইসির এমন সংলাপের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতোমধ্যে নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে নির্বাচন কমিশনাররা কমিশন সভা না করলেও নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের।

এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ বেগম রাশেদা সুলতানা, সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমানকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। নবগঠিত কমিশন ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে পরদিন থেকে নির্বাচন ভবনে অফিস শুরু করে।

এ বিভাগের আরো খবর