বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চীন কোনো দেশে সামরিক স্থাপনা তৈরি করে না: রাষ্ট্রদূত

  •    
  • ১৩ মার্চ, ২০২২ ২০:৪০

জাপানি পত্রিকা ‘নিক্কেই এশিয়া’র এক খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে বিমান বিধ্বংসী মিসাইল (সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল) রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রস্তুত করছে চীন। ২০১১ সালে বাংলাদেশকে যে সারফেস টু এয়ার মিসাইল দিয়েছে, তা রক্ষণাবেক্ষণে চীন এমন ব্যবস্থা তৈরি করছে যাকে ‘হাব’ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। এর প্রতিক্রিয়ায় ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত বক্তব্য দিয়েছেন।

ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, তার দেশ কখনও অন্য কোনো দেশে সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ স্থাপনা তৈরি করে না। কোনো দেশ সামরিক সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা চাইলে সহায়তা দিয়ে থাকে।

‘বাংলাদেশে মিসাইল তৈরির কারখানা করেছে চীন’ জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কিতে প্রকাশিত এমন সংবাদের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এ মন্তব্য করেন তিনি।

রোববার রাজধানীর এক‌টি হো‌টে‌লে চীনা দূতাবাস আয়োজিত ‘স্প্রিং ডায়ালগ উইথ চায়না’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি।

‘নিক্কেই এশিয়া’র ওই খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে বিমান বিধ্বংসী মিসাইল (সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল) রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রস্তুত করছে চীন। ২০১১ সালে বাংলাদেশকে যে সারফেস টু এয়ার মিসাইল দিয়েছে, তা রক্ষণাবেক্ষণে চীন এমন ব্যবস্থা তৈরি করছে যাকে ‘হাব’ হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

এ নিয়ে নয়াদিল্লি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন বলেও এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

তবে প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশ বা চীনের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য উল্লেখ না করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তার বরাত ব্যবহার করা হয়েছে।

এই সংবা‌দের বিষ‌য়ে ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত ব‌লে‌ন, এ বিষ‌য়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য তার জানা নেই, বিষয়‌টি খতিয়ে দেখতে বেই‌জিংকে বার্তা পাঠানো হবে।

ইংরেজি দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) ছিল অনুষ্ঠানটির সহ-আয়োজক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সম্পাদক ইনাম আহমেদ।

চীনা দূত ব‌লেন, ইন্দোপ্যাসিফিক স্ট্যাটেজি কোয়াডসহ এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিভিন্ন উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছে তার দেশ। এসব উদ্যোগ নিয়ে বাংলাদেশ বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নেবে বলে তারা প্রত্যাশা করেন।

রো‌হিঙ্গা ইস্যুতে লি জি‌মিং ব‌লেন, চীন এই সংকটের সমাধান চায়। রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে মিয়ানমারের স‌ঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তার দেশ।

বাংলাদেশে বৃহৎ নির্মাণ প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণ একটি বড় সমস্যা বলেও জা‌নান চীনা রাষ্ট্রদূত। জানান, তার দেশের বড় প্রকল্পগুলো এই সমস্যার মুখোমু‌খি হচ্ছে।

কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্পগুলো সফলভাবে শেষ হতে চলায় সন্তোষ প্রকাশ করেন চীনা দূত। আশা করেন, পদ্মা সেতু আগামী জুনে চালু হয়ে যাবে।

চী‌নের উইঘুর প্রদেশে মুসলিমদের নির্যাতনের অভিযোগ প্রসঙ্গেও কথা বলেন লি জি‌মিং। দাবি করেন, এই বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমারা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এই ইস্যুতে জাতিসংঘ তদন্তের উদ্যোগকে তার দেশ স্বাগত জানায় বলেও উল্লেখ করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।

এ বিভাগের আরো খবর