ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে টেকনোলজি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
রোববার নির্বাচন ভবনে কমিশনের সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফর ইকবাল বলেন, ‘এটা টেকনোলজির ব্যাপার। টেকনোলজির শিক্ষকদের নিয়ে বসে বিষয়টা অ্যানালাইসিস করা যেতে পারে। এখন অনেক নতুন টেক এসেছে। যেমন ব্লক চেইন। এখানে এই সমস্ত ব্যাপারগুলোকে একদম ফুলপ্রুফ করে দেয়া হয়। ইভিএম নিয়ে সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির মানুষের সঙ্গে বসতে হবে। ওনারা কনভিন্স হলে জাতিকে বলতে পারবেন, ইভিএম নিয়ে ভয়ের কিছু নাই, এটা সম্পূর্ণ নিরাপদ।’
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক করতে হলে নির্বাচন ইনক্লুসিভ হতে হবে জানিয়ে জাফর ইকবাল বলেন, ‘সবাইকে এখানে অংশগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু এই মুহূর্তে আমরা সেটা দেখছি না। সবাই নির্বাচনে আসছেন না এমন একটা আভাস পাওয়া যাচ্ছে। সবাইকে আনার জন্য সমঝোতা ব্যাপারটাতে খুব গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আমরা সব রাজনৈতিক দলকে বলি, আপনারা এসে সমঝোতা করেন যাতে নির্বাচনে সবাই যোগ দিতে পারে। কমিশন আমাদেরকে ব্যাপারটা নিয়ে লেখা-লেখি করতে বলেছেন।’
সংলাপে উপস্থিতি হয়েছেন মাত্র ১৩ শিক্ষাবিদ, এ প্রসঙ্গে জাফর ইকবাল বলেন, ‘অনেকের হয়তো ব্যক্তিগত কাজ থাকতে পারে যেজন্য তারা আসতে পারেননি।’
নতুন কমিশন এলেই সংলাপ হয় কিন্তু সুপারিশ কতটা রাখা হয় এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা তো বলি। কিন্তু রাখবে নাকি রাখবে না সেটা ওনাদের ব্যাপার। আমরা আমাদের কথা বলে যাব। আলোচনা সুন্দর হয়েছে।’
সংলাপ শেষে অধ্যাপক সাদেকা হালিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কমিশন আমাদের থেকে কিছু হাম্বল সাজেশন জানতে চেয়েছিলেন। ওনারা একদমই শান্ত ছিলেন, আমরাই কথা বলেছি। আমাদের সাজেশন লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্বাচন যেন স্বচ্ছ, জবাবদিহিতামূলক এবং অংশগ্রহণমূলক হয়- এ কথাই আমরা বলেছি। নির্বাচনে সহিংসতা যেন না হয়। এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কীভাবে যুক্ত করা যায় সে কথা আমরা বলেছি।’
নারীর অংশগ্রহণের কথা বলেছি, জানিয়ে এই অধ্যাপক বলেন, ‘ আরপিওতে আছে ৩৩ শতাংশ নারী থাকার কথা বিভিন্ন দলের কমিটিতে। কমিশন সেটা দেখবেন বলেছেন। এখনকার সিস্টেমে তো সবাই নিজ নিজ পদে থাকবেন। এমপিরা থাকবেন, মন্ত্রীরা থাকবেন, প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। এটা রেখে আমরা কীভাবে একটা স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারি তা আলোচনা করেছি।’