‘রাজনৈতিক সমঝোতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা থাকলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাজটা সহজ হবে। দলগুলোর সহযোগিতায় কমিশন আরো সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল রোববার শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ শেষে একথা বলেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রোববার শিক্ষাবিদদের সঙ্গে দুইঘণ্টার বেশি সময় ধরে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে ৩০ শিক্ষাবিদকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আমন্ত্রণ জানালেও ১৭ জন তাতে সাড়া দেননি। বাকি ১৩ শিক্ষাবিদের সঙ্গে দুই ঘণ্টাব্যাপী সংলাপ করে কমিশন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছেন। আমরাও গুরুত্বসহকারে শুনেছি। লিপিবদ্ধ করে রেখেছি। পরবর্তীতে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা-পর্যালোচনা করে করণীয় নির্ধারণ করব।’
সংলাপে সিইসি বলেছেন, ‘অনেক ইচ্ছে আছে। কিন্তু সবটা করার সাধ্য নেই। এটাও ঠিক, সব সাধ্য কখনোই পূরণ হয় না। বিষয়টি আপেক্ষিক।’
শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘তারাও বলেছেন যে কিছু দ্বিমত থাকবেই। অ্যাবসলিউড পার্ফেক্টলি করা সম্ভব নাও হতে পারে। এটা আমরা কেন অনেক দেশেই হয় না। আলোচনায় আমরা বলেছি যে চেষ্টা করব। ওনারা পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে আমরা দেখব, আগামী নির্বাচনে আমাদের দক্ষতা আরো বেশি প্রয়োগ করে কিভাবে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করতে পারি।
‘আমরা বলেছি যে সবার সহযোগিতা লাগবে। ওনারা বলেছেন যে সমঝোতা লাগবে। সবার সহযোগিতা লাগবে।’
আমন্ত্রণ পেয়েও অনেকে সংলাপে না আসা প্রসঙ্গে সিইসি আউয়াল বলেন, ‘এটা কিন্তু নির্বাচন না। এখানে আমরা অনেককেই আমন্ত্রণ জানিয়েছি। স্বাভাবিকভাবেই অনেকের অসুবিধা থাকতে পারে। আমরা ৩০ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তাদের মধ্যে ১৫ জন এসেছেন।
‘আমাদের আলোচনায় যে ঘাটতি হয়েছে তা না। মোটামুটি একজন আরেকজনকে সমর্থন করেছেন। কথার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। আরো বেশি সংখ্যায় এলে আমরা আরো বেশি খুশি হতাম। আগামীতে যদি আরো বেশি পার্টিসিপেন্ট চাই তাহলে আমাদের আরেকটু বেশি সংখ্যায় দাওয়াত করতে হবে।’
দলীয় সরকারের অধীনে ভালো ভোট চাইলেও করা সম্ভব নয়- শিক্ষাবিদদের এমন বক্তব্য বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘না, সবাই এরকম বলেননি। দু-একজন বলেছেন। তবে ওই নির্বাচনটা কেয়ারটেকার গভর্নমেন্টের আমলে হয়েছে। এখন সাংবিধানিক সরকার আছে। এর মধ্যে আমাদের নির্বাচন করতে হবে। আর সংলাপে সবাই এভাবে বলেননি যে নির্বাচন আয়োজনে নির্দলীয় সরকার লাগবে।’
রাজনৈতিক সমঝোতা না হলে কি ভালো ভোট হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ওনারা বলেছেন যে রাজনৈতিক সমঝোতা গুরুত্বপূর্ণ। পলিটিক্যাল পার্টির মধ্যে সমঝোতা থাকলে নির্বাচন কমিশনের কাজটা সহজ হবে। তাদের সহযোগিতার সুবাদে আমরা আমাদের দায়িত্বটা আরো সুচারুভাবে পালন করতে পারব।’