বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সার ডিলারকে ‘হত্যার হুমকি’, কৃষি কর্মকর্তার নামে জিডি

  •    
  • ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:৪৭

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার বলেন, ‘ডিলারের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। সত্যতা যাচাই করে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসির) সার ডিলারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগটি করেন ডিলার মো. মোরশেদ।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল কাদের মিয়া।

তিনি বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তা ওই সার ডিলারকে হত্যার হুমকি দিয়েছে- এমন অভিযোগ এনে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করতে একজন উপপরিদর্শককে (এসআই) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এটি মামলা হিসেবে নথিবদ্ধ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ ঘটনায় একই দিন বিকেলে ওই দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস।

এর আগে ডিলার মোরশেদ গত বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমারের কাছে অভিযোগ করেন, ছাইদুর রহমান তার কাছে চাঁদা চেয়েছেন। দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন।

তবে পাল্টা অভিযোগ এনে ছাইদুল বলেন, ‘ডিলার মোরশেদের কিছু অনিয়ম ধরা পড়ে যাওয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। তাই তাকে ফাঁসাতে মোরশেদ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’

নিউজবাংলাকে মোরশেদ জানান, ২০১৯ সালে উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নে বিএডিসি সার ডিলার হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। এর আগে কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে তার কখনও বাগবিতণ্ডা হয়নি।

মোরশেদ বলেন, ‘গত বুধবার আমাকে ফোন করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ২০ হাজার টাকা চান। নয়তো ডিলারের দায়িত্ব থেকে তাকে সরানো হবে বলে জানান।’

তিনি জানান, এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘তোর কল্লাডা (মাথা) রাখবাম (রাখতাম) এক জাগাত (জায়গায়), বডিডা রাখবাম এক জাগাত’। তোরে যদি অহন পাই, পাড়া মাইর‌্যা ফুডায়া ফালবাম (ফেলতাম)।’

সার ডিলার আরও বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে জানানো প্রয়োজন মনে করেই বৃহস্পতিবার দুপুরে তার কার্যালয়ে গিয়ে জানিয়েছি। হুমকি দেয়ার অডিও রেকর্ডও সংগ্রহে রেখেছি।’

এসব অভিযোগ অস্বীকার করে কৃষি কর্মকর্তা ছাইদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মোরশেদ ডিলার হিসেবে কাজ করলেও সে ছলছাতুরির আশ্রয় নেয়। গত জানুয়ারি মাসে তার নামে বরাদ্দ সার উত্তোলন না করে অন্য কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার চেষ্টা করেন। এরপর থেকেই তার সঙ্গে আমার মনোমালিন্য চলছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি কাউকে হুমকি দেইনি। তার কাছে (ডিলার মোরশেদ) টাকা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তোলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার বলেন, ‘ডিলারের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরেছি। একজন সরকারি কর্মকর্তা কখনোই অপেশাদার আচরণ করতে পারেন না। তবুও দুজনকেই শোকজ করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তারা জবাব দেবেন।

‘এরপর সত্যতা যাচাই করে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর