সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে ৫ ভাইয়ের মৃত্যুর ১৪ দিন পর মারা গেলে আহত আরেক ভাই রক্তিম সুশীলও।
মঙ্গলবার রক্তিমের মরদেহ হাসপাতাল থেকে সরাসরি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। পথে মালুমঘাট বাজারের পাশে অ্যাম্বুলেন্সেই ছেলেকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে ছুটে আসেন মা মৃনালিণী সুশীল মানু। কিন্তু সন্তানের মরদেহের কাছে গিয়েই জ্ঞান হারান তিনি।
এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন বোন মুন্নী সুশীল ও ছোট ভাই প্লাবন সুশীলসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই।
মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে রক্তিমের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি চকোরিয়ার মালুমঘাটে পৌঁছায়। তারপরই ঘিরে ধরে এলাকাবাসী। পরে সেখান থেকেই সৎকারের জন্য মরদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।
বোন মুন্নী সুশীল কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘ও ভাইরে, আমাদের ফেলে তুইও চলে গেলি। হে ভগবান আমাদের কি অপরাধ ছিল?’
পরে জ্ঞান হারানো মৃণালিনীকে ছোট ছেলে প্লাবনসহ চারজন কুলে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান।
উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের চকোরিয়ায় সাত ভাই ও দুই বোন রাস্তা পার হতে গেলে একটি পিকআপ ভ্যান তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ ভাইয়ের মৃত্যু হয়। সর্বশেষ হাসপাতালে আহত আরেক ভাইয়ের মৃত্যু হলো।