ভোটে জিতিয়ে দিতে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা করেছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে গত রোববার আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়। মিঠাপুকুর থেকে তাকে কুড়িগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন সোমবার দুপুরে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সপ্তম ধাপে মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়নে ভোট হয়। সেই ভোটে হান্নানের বিরুদ্ধে রফিকুল ইসলাম নামের এক সদস্য প্রার্থীকে জিতিয়ে দিতে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠে।
২ ফেব্রুয়ারি টাকা চাওয়ার অডিও ক্লিপ ফেসবুকে ভাইরাল হলে পরদিনই তাকে তাৎক্ষণিক রিলিজ দেয়া হয়।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি কিন্তু এখনও চিঠি হাতে পাইনি। বিভাগীয় মামলার পর তাকে শো-কজ করা হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে এবং উনি পারসোনাল হেয়ারিং চান কি না সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য হান্নানকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।
তবে রফিকুল বলেন, ‘হান্নান আমার কাছ থেকে তিন দফায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। কল কে রেকর্ড করে ফাঁস করেছে তা আমার জানা নেই।’