বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জিয়াকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে: ফখরুল

  •    
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৩:৪৩

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অথচ যে মানুষটি দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, সেই মানুষটিকেই ইতিহাস থেকে মুছে দেয়ার চেষ্টা চলছে। এই কাজটি খুব সচেতনভাবেই হচ্ছে।’

জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেই মানুষটিকেই ইতিহাস থেকে মুছে দেয়ার চেষ্টা চলছে। এই কাজটি খুব সচেতনভাবেই হচ্ছে।

রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন রচনা প্রতিযোগিতা কমিটি আয়োজিত জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগীদের ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে শুক্রবার মির্জা ফখরুল মন্তব্য করেন।

জিয়াউর রহমানই দেশের মানুষের কাছে নতুন দর্শন, নতুন জীবনবোধ তুলে ধরতে পেরেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সকলকে নিয়ে একটি রাষ্ট্র গঠন করা হয়েছিল।

‘অথচ যে মানুষটি দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন, সেই মানুষটিকেই ইতিহাস থেকে মুছে দেয়ার চেষ্টা চলছে। এই কাজটি খুব সচেতনভাবেই হচ্ছে।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করলেও বিএনপি দাবি করে, ২৬ মার্চ এই ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তার বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা দেয়ার বিষয়টি তারা চেপে যান।

জিয়াকে হত্যার পর থেকে বিএনপি তাদের প্রতিষ্ঠাতাকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে আসছে। যদিও উচ্চ আদালতে বিষয়টির মীমাংসা হয়েছে। একটি রিট আবেদনের পর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত নানা প্রমাণ উল্লেখ করে বলেছে, বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার ঘোষক। এর বিরুদ্ধে কোনো বক্তব্য দেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। যদিও বিএনপি এখনও জিয়াকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ বলে আসছে।

মির্জা ফখরুল তার বক্তব্যে ১৯৭২ সালের বঙ্গবন্ধুর সরকারের সমালোচনা করেন। ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘তারপরই আমরা দেখলাম সেই অবস্থান থেকে জিয়াউর রহমান অলৌকিক শক্তি নিয়ে সবকিছু পাল্টে দিয়েছেন। এক বছর পরেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। এমন কোনো জায়গা নাই, যেখানে তিনি হাত দিয়ে পরিবর্তন করেন নাই।’

ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি মুক্তিযোদ্ধার দল, স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা এই দলের দায়িত্ব।’

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানসহ ১২টি বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতা করে বিএনপি। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার দেয়ার পাশাপাশি সেসব রচনা নিয়ে একটি প্রকাশনা করার কথাও জানান দলটির নেতারা।

এ সময় বক্তব্যে সার্চ কমিটি নিয়েও কথা বলেন ফখরুল। বলেন, ‘এটা জনগণের সাথে চরম প্রতারণা। আমরা বিগত নির্বাচনেও দেখেছি তারা তাদের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য নিজেদের লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। সে কমিশন দিয়ে নির্বাচন করে বলে আমরা তো জিতে গেছি।’

বিএনপি ও দেশের জনগণ আর সেই ফাঁদে পা দেবে না জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের জনগণ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার আওয়ামী লীগের সব পরিকল্পনা নষ্ট করে দেবে। এই ভয়াবহ গণতন্ত্রবিরোধী, দেশের মানুষবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রুখে দেয়ার জন্য ঐক্য সৃষ্টি করে, একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘রচনা সংগ্রহের কাজটি অত্যন্ত কঠিন ছিল। সারা দেশ থেকে এগুলো সংগ্রহ করা, সেগুলো মূল্যায়ন করা ও ফলাফল প্রকাশ করা খুব কঠিন কাজ।’

বিএনপির এই নেতার দাবি, তাদের দল মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরে বলেই সরকারের গাত্রদাহ হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, ‘যে লেখাগুলো পেয়েছি সেগুলো পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করব। যাতে সাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে পারি।’

প্রতিযোগিতার কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আফম ইউসুফ হায়দার বলেন, ‘রচনার বিষয়গুলো বিএনপি ওরিয়েন্টেড; জিয়াউর রহমানকে নিয়ে। শিশুদের সুকুমার বৃত্তির জন্য জিয়া নতুন কুড়ি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। দেশে যা কিছু ভালো, যা কিছু সুন্দর তার কারিগর জিয়াউর রহমান।’

রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম।

এ বিভাগের আরো খবর