বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাতকানিয়ার ইউপি নির্বাচনে সহিংসতা ভাড়া করা অস্ত্রে

  •    
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:২৩

গত ৭ ফ্রেব্রুয়ারি সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে ওই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে এক কিশোরসহ দুজন নিহত হন।

সম্প্রতি সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ঘিরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় যে সহিংসতা হয়েছে, তাতে ব্যবহার করা হয়েছে ভাড়া করা অস্ত্র। সহিংসতায় জড়িতরা নানা পেশার হলেও আসলে তারা সন্ত্রাসী।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এতথ্য জানান।

গত ৭ ফ্রেব্রুয়ারি সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে ওই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে এক কিশোরসহ দুজন নিহত হন।

র‌্যাব জানিয়েছে, আটজনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ চট্টগ্রাম মহানগরী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বান্দরবান সদর ও রাজধানীর তেজকুনিপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। র‌্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার তত্ত্বাবধানে র‌্যাব-২, র‌্যাব-৭ ও র‌্যাব-১৫ এই অভিযান চালায়।

সোমবার রাতে র‌্যাব-১৫ বান্দরবান সদর থেকে নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। এর পর তার দেয়া তথ্যে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে মো. মোরশেদ, কোরবান আলী, মো. ইসমাঈলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের দেয়া তথ্যে সাতকানিয়ার খাগরিয়া থেকে উদ্ধার করা হয় সহিংসতায় ব্যবহৃত তিনটি একনলা বন্দুক, একটি দোনলা বন্দুক, একটি ওয়ান শুটারগান, অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র ও ৪২ রাউন্ড গোলাবারুদ।

একই রাতে র‌্যাব-৭ এর একটি অভিযানে চট্টগ্রাম থেকে সহিংসতার ঘটনায় মো. জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার তথ্যানুসারে চট্টগ্রামের চান্দনাইশ থেকে মো. মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তথ্যানুসারে র‌্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখার তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার ভোরে র‌্যাব-২-এর অভিযানে রাজধানীর তেজকুনীপাড়া এলাকা থেকে মো.কায়েস ও তার সহযোগী নুরুল আবছারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সহিংসতার সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, ‘গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাতকানিয়ার খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কতিপয় অস্ত্রধারী দুষ্কৃতিকারী ব্যাপক সহিংসতা ও নাশকতা চালায়। ওই সহিংসতার ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় বেশ কয়েকটি মামলা করা হয়।’

খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও স্থানীয় তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, গ্রেপ্তার মো. কায়েস গত দুই বছর ধরে চট্টগ্রামে একটি কোম্পানিতে চাকরি করে আসছেন। পাশাপাশি সাতকানিয়া উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত সহিংসতা ও হামলার ঘটনায় নেতৃত্ব দেন।

‘কায়েস এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য ৩০-৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল পরিচালনা করতেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র সংগ্রহ করে তার দলের সদস্যদের সরবরাহ করতেন।’

ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় ব্যবহৃত অস্ত্র কোথা থেকে কীভাবে এসেছে জানতে চাইলে র‌্যাব গণমাধ্যম পরিচালক বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার কায়েস বেশ কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকে ভাড়ায় অস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন বলে তথ্য দিয়েছেন। অস্ত্র সংগ্রহ করে কায়েস তার বিশ্বস্ত সদস্যদের অস্ত্র সরবরাহের দায়িত্ব দেন। তারা গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদেরকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সহিংসতায় অস্ত্র সরবরাহ করতেন।

‘কাজ শেষে অস্ত্র ফেরত দিলে তারা স্থানীয় কবরস্থান ও পুকুরপাড়সহ বিভিন্ন স্থানে সেসব অস্ত্র লুকিয়ে রাখতেন। তবে এবার নির্বাচনী সহিংসতার পরবর্তী পরিস্থিতির কারণে আত্মগোপন যান, ভাড়া অস্ত্র আর ফেরত দিতে পারেননি।’

এ বিভাগের আরো খবর