বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মালির স্ত্রী সাজা পেলেন দুর্নীতির মামলায়

  •    
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০২

২০১৬ সালে ‘মালি থেকে কোটিপতি’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলে আলোচনায় আসেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের মালি সেলিম মোল্লা। দুদক সেলিমের বিরুদ্ধে মামলার পাশাপাশি আলাদা মামলা করে তার স্ত্রী পারভীনের বিরুদ্ধে। সম্পদের একটা বড় অংশ পারভীনের হেফাজতে থাকায় তিনি বিচারে সাজা পান।

দুর্নীতির মামলায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক মালি সেলিম মোল্লার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তার হেফাজতে থাকা এক কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩১ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন রোববার এ সাজা ঘোষণা করেন।

‘মালি থেকে কোটিপতি’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলে ২০১৬ সালে আলোচনায় আসেন মালি সেলিম মোল্লা। তদন্তে নেমে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগের সত্যতা পেলে মামলা হয় সেলিমের বিরুদ্ধে। তখন আলাদা মামলা করা হয় তার স্ত্রী পারভীনের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করা সম্পদের একটা বড় অংশ স্ত্রীর নামে রেখেছিলেন সেলিম। তারই সূত্রে সাজা পেলেন পারভীন আক্তার। সেলিমের বিরুদ্ধে দুদকের করা অন্য মামলার বিচার চলছে।

পারভীনকে রোববার দুর্নীতির মামলায় দুটি ধারায় তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। দুই ধারার সাজা এক সঙ্গে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে আসামিকে তিন বছর কারাগারে থাকতে হবে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, পারভীন আক্তারকে সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছর এবং জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরও তিন বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় আসামি পারভীন আক্তার আদালতে হাজির ছিলেন। সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে নেয়া হয়।

২০১৬ সালে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পেলে দুদক অভিযুক্ত মালি সেলিম মোল্লার ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করে।

দুদকের নির্দেশে সেলিমের স্ত্রী পারভীন আক্তারকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন। তখন পারভীন জানান, তার নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮ লাখ টাকা। স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মূল্য এক কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

দুদক অনুসন্ধানে পারভীন আক্তারের সম্পদের বিপরীতে গ্রহণযোগ্য জ্ঞাত আয়ের উৎস পায় ৩০ লাখ ২১ হাজার ৫৬৯ টাকার। আর জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের পরিমাণ পাওয়া যায় এক কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩১ টাকার। এছাড়া তিনি সম্পদ বিবরণীতে ২৭ লাখ ৯৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন বলে প্রমাণ মেলে।

এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদুর রহমান ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ রমনা থানায় পারভীনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেলিমের বিরুদ্ধেও মামলা হয় একই থানায়।

পারভীন আক্তারের বিরুদ্ধে করা মামলাটির তদন্ত শেষে দুদকের উপপরিচালক কে এম মিছবাহ উদ্দিন ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছর ১৮ আগষ্ট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ৬ জন সাক্ষীর সবার সাক্ষ্য নিয়েছে। এরপর রোববার রায় ঘোষণা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর