গত বছরের মতো এবারও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পাওয়ায় ছাত্রদের চেয়ে এগিয়ে আছে ছাত্রীরা। এবার ছাত্রীদের পাসের হার ৯৬.৪৯ শতাংশ। বিপরীতে ছাত্রদের পাসের হার ৯৪.১৪ শতাংশ।
সব শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৩ হাজার ২৪৪ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন। উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন।
এবার ছাত্র পরীক্ষার্থী ছিল ৭ লাখ ৩২ হাজার ২৯ জন। এর মধ্যে অংশগ্রহণ করে ৭ লাখ ১৫ হাজার ৫১৬ জন। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৫৮০ জন।
ছাত্রী পরীক্ষার্থী ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ২১৫ জন। এর মধ্যে অংশ নেয় ৬ লাখ ৫৬ হাজার ১৬৫ জন। উত্তীর্ণ হয় ৬ লাখ ৩৩ হাজার ১৩৮ জন।
এবার এইচএসসিতে জিপিএ ফাইভ পাওয়াদের মধ্যেও এগিয়ে মেয়েরা। জিপিএ ফাইভ পেয়েছে মোট ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১ লাখ ২ হাজার ৪০৬ জন। ছাত্র ৮৬ হাজার ৭৬৩ জন।
জিপিএ ফাইভ পাওয়ায় ছাত্রীদের হার ১৫.৬১ শতাংশ; ছাত্রদের হার ১৩.৭৯ শতাংশ।
গত বছর স্বয়ংক্রিয় পাস হলেও জিপিএ-৫ পাওয়ায় এগিয়ে ছিল ছাত্রীরাই। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৮৩ হাজার ৩৩৮ ছাত্রী, আর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭৮ হাজার ৪৬৯ জন ছাত্র।
এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৩ হাজার ২৪৪ জন। এর মধ্যে অংশ নেয় ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কেন্দ্রে রোববার সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হলেও করোনা মহামারির কারণে এই পাবলিক পরীক্ষা ২০২১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ৩০ ডিসেম্বর।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষা অন্যান্য বছরের মতো হয়নি। পরীক্ষা হয় শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে। আর আবশ্যিক বিষয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে মূল্যায়নের মাধ্যমে নম্বর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়; বাদ দেয়া হয় চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও।