এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ ফাইভ বেড়েছে। ২০২১ সালের পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ শিক্ষার্থী, যা গত বছরের চেয়ে বেড়েছে ২৭ হাজার ৩৬২ জন।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হয়নি। সে বছর স্বয়ংক্রিয় পাস করিয়ে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের। সে বছর জিপিএ ফাইভ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রোববার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে দেয়া সব বিভাগের তথ্য থেকে এমনটা জানা গেছে।
জিপিএ ফাইভ পাওয়ার শতকরা হার এবার ১৩ দশমিক ৭৯।
এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রসা ও কারিগরি বোর্ড মিলে গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিলে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হলেও করোনা মহামারির কারণে এই পাবলিক পরীক্ষা ২০২১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। পরীক্ষা ২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে শেষ হয় ৩০ ডিসেম্বর।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষা অন্যান্য বছরের মতো হয়নি; পরীক্ষা হয় শুধু নৈর্বাচনিক বিষয়ে। আর আবশ্যিক বিষয়ে আগের পাবলিক পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে মূল্যায়নের মাধ্যমে নম্বর দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বাদ দেয়া হয় চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও।
এ বছর পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন।