চট্টগ্রাম থেকে ক্যাম্পে ফেরার পথে কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকায় বাসের মধ্যে এক রোহিঙ্গা তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এই মামলায় ফারুক নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৩০ বছরের ফারুক মূলত ওই বাসের হেলপার।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি।
তিনি জানান, তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন ওই তরুণী। এর মধ্যে বাসের হেলপার ফারুককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাসের চালক ও সুপারভাইজার পালিয়ে গেলেও তাদের বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই ধর্ষণচেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছেন তরুণী।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী তরুণী কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা। পাঁচ-ছয় দিন আগে কাজের খোঁজে তিনি ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোথাও কাজ না পেয়ে আবারও ক্যাম্পে ফেরার জন্য হানিফ পরিবহনের একটি বাসে চড়ে বসেন।
এদিকে বাস ভাড়া দিতে না পারায় তরুণীকে চকরিয়া পৌর টার্মিনালে নামিয়ে দেয় বাসটি। এ সময় টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা শ্যামলী পরিবহনের একটি লোকাল বাসের হেলপার তার কাছে- ‘কোথায় যাবেন’ জানতে চান। পরে উখিয়া পৌঁছে দেয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে খালি একটি বাসে তোলেন হেলপার।
চালক এ সময় বাসটিকে চকরিয়ার বাটাখালী ব্রিজ এলাকায় নিয়ে যান। পরে চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার সংঘবদ্ধ হয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান।
এ সময় ওই তরুণী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। তারা হেলপার ফারুককে আটক করলেও পালিয়ে যান চালক ও সুপারভাইজার। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেন ওই তরুণী।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে আটক ফারুককে হস্তান্তর করা হয় তাদের কাছে। রোববার সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।