বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।
রাজধানীর পুরান ঢাকায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সমিতির মহাসচিব আব্দুর রহমান এ দাবি জানান।
মহাসচিব বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষার গুরুত্ব বুঝে দেশ স্বাধীনের কিছু দিন পর প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করেছিলেন। দেশের মানবসম্পদ তৈরির কারিগর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের জাতীয়করণ না করলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। যাদের হাত ধরে আগামীর নেতৃত্ব গড়ে ওঠে তারা যেন অবহেলার স্বীকার না হন।
‘প্রতি বছর পরীক্ষায় বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাফল্য থাকে সবার ওপরে। শিক্ষামন্ত্রী যেমন ডাক্তারি পেশায় একজন অসুস্থকে চিকিৎসা দেন, শিক্ষকদেরও চিকিৎসা এখন জাতীয়করণ।’
এ সময় চাকরি জাতীয়করণসহ পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, স্বেচ্ছা বদলির ব্যবস্থা করা, প্রধান শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ৬ গ্রেডে দেয়া, অবসর নেয়ার ছয় মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে সংগতি রেখে মহার্ঘ ভাতা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির নেতারা।
এ ছাড়া আসন্ন জাতীয় বাজেটে এসব দাবি পূরণের লক্ষ্যে অর্থ বরাদ্দের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা।
সভায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদুল ইসলামসহ সারা দেশ ও মহানগরের শিক্ষক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।