বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বড় বাঘডাশাটি হাতে পেল না বন বিভাগ

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:০১

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ কে এম রুহুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে হস্তান্তরের আগেই যদি কারও অবহেলায় প্রাণীটি মারা যায়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’

ময়মনসিংহ সদরের ঘাগড়া ইউনিয়নে আটক হওয়া বড় বাঘডাশাটিকে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করতে নারাজ গ্রামবাসী।

তারা জানিয়েছেন, সেটি দেখতে লোকজন ভিড় করছেন। মানুষের আগ্রহ শেষ হলে তবেই সেটি বন কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেয়া হবে।

আর বন কর্মকর্তা জানান, প্রাণীটিকে হেফাজতে নিতে তারা শুক্রবার ফের চেষ্টা চালাবেন। এর মধ্যে প্রাণীটির ক্ষতি হলে যার কাছে সেটি আছে, তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঘাগড়া ইউনিয়নের মাইজহাটি গ্রামে বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে জাল ফেলে প্রাণীটিকে আটক করা হয়।

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, ওই গ্রামের হাবিবুর রহমানের বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরে প্রাণীটি প্রবেশ করে। এ সময় একটি শিশু প্রাণীটিকে দেখে চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয় এবং খবরটি দ্রুত গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় গ্রামবাসী এক হয়ে জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে প্রাণীটিকে আটক করে।

চেয়ারম্যান বলেন, ‘বর্তমানে প্রাণীটি খাঁচায় বন্দি আছে। এমন প্রাণী এলাকায় এই প্রথম ধরা পড়েছে। এ জন্য কেউ চিনতে পারছে না। তবে প্রাণীটি হিংস্র আচরণ করছে।’

ছবি দেখে প্রাণীটিকে বড় বাঘডাশা বলে শনাক্ত করেছেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ কে এম রুহুল আমিন।

সেটিকে হেফাজতে নিয়ে প্রকৃতিতে অবমুক্ত করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গ্রামে যান বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তারা। কয়েক দফা চেষ্টা করেও প্রাণীটিকে নিতে পারেননি তারা।

রেঞ্জ অফিসের বন কর্মকর্তা মেজবাইল ইসলাম বলেন, ‘ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের নির্দেশ না থাকায় বন কর্মকর্তার কাছে প্রাণীটি দেয়া হয়নি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বন কর্মকর্তারা চলে যান... গ্রামবাসী প্রাণীটিকে নিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে। বর্তমানে প্রাণীটি খাঁচায় বন্দি আছে।’

ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এসএমএস করা হলেও তিনি জবাব দেননি।

হাবিবুরের ভাগ্নে লুৎফর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বন কর্মকর্তা এসে প্রাণীটিকে দ্রুত নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তখন আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে লোকজন প্রাণীটিকে দেখতে আসে। এ জন্য বলেছিলাম সবার দেখা শেষ হলে কিছুক্ষণ পর প্রাণীটি নিয়ে যান। এ ছাড়া আমাদের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান আসার পর প্রাণীটি হস্তান্তর করা হবে। এমন কথা বলার পর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণী না নিয়েই চলে যান বন কর্মকর্তা।’

তিনি জানান, বন বিভাগের লোকজন ফেরত এলে হস্তান্তর করা হবে। না হলে গ্রামেই এটিকে ছেড়ে দেয়া হবে।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ কে এম রুহুল আমিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বন কর্মকর্তারা আবারও যোগাযোগ করে প্রাণীটিকে আনতে চেষ্টা করছেন। পরে এটিকে মধুপুর গড়ে ছেড়ে দেয়া হবে। তবে আমাদের কাছে হস্তান্তরের আগেই যদি কারও অবহেলায় প্রাণীটি মারা যায়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’

এই বন কর্মকর্তা আরও জানান, বড় বাঘডাশা এই অঞ্চলে তেমন দেখা যায় না। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Viverra zibetha. একটি বড় বাগডাশার গড় আয়ু ১৫ বছর পর্যন্ত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর