করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কিছু বেসরকারি স্কুলে ক্লাস নেয়া হচ্ছে সশরীরে।
এমনই একটি স্কুলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, খরচ মেটাতে পাঠদান চালিয়ে নেয়া হচ্ছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির মেয়াদ আরও বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে পাঠদান বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
তবে ফুলবাড়ীর বেতদীঘি ইউনিয়নের মাদিলাহাট এলাকার গিয়ে দেখা গেল, ভোরের আলো বিদ্যানিকেতন নামের একটি স্কুলে চলছে ক্লাস। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুখে নেই মাস্ক।
স্কুলটিতে তৃতীয় শ্রেণিতে ১৮, চতুর্থ শ্রেণিতে ২২ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ২৩ শিক্ষার্থীকে দেখা গেছে।
সহকারী শিক্ষক জেবা ফারিয়া জুঁই, মিলন হেসেন ও তিথি মহন্ত জানান, স্বল্প পরিসরেই পাঠদান চলছে।
বিধিনিষেধের বিষয়টি জানা থাকলেও প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে ক্লাস নেয়া হচ্ছে বলে জানান তারা।
প্রধান শিক্ষক মাসুদ রানার ফোন নম্বর দিতে রাজি হননি স্কুলের কেউই।
ওই ইউনিয়নের দামারপাড় এলাকার বেসরকারি সংস্থা বেসিক পরিচালিত মালঞ্চা বেসিক স্কুল ও মাদিলাহাট বাজারের সান হিয়া সেমি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলেও চলছে ক্লাস।
মালঞ্চ বেসিক স্কুলে ৩১ জন ও সান হিয়া স্কুলে ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
সান হিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু হেলাল বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুলের ঘর ভাড়া দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে। আয়-রোজগার বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় কাটাতে হয়েছে। তাই এখন ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্বল্প পরিসরে স্কুল খোলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিয়াজ উদ্দিন জানান, খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।