পটুয়াখালীর দুমকিতে মাদ্রাসাশিক্ষকের মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে স্কুলছাত্রের চুল কেটে দিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য। সেই দৃশ্য ভিডিও করে ফেসবুকে দেয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য জানিয়েছেন, ওই কিশোরকে শিক্ষা দিতে তিনি এ কাজ করেছেন।
উপজেলার পাঙ্গাশিয়া নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার সামনে মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
ওই কিশোর স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। দক্ষিণ পাঙ্গাশিয়া গ্রামে তার বাড়ি। তার বড় ভাই নেছারিয়া মাদ্রাসায় রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
তার মা বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে স্কুল বন্ধ থাকায় আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে বড় ছেলে মাদ্রাসায় কাজে যায়। কিছুক্ষণ পর আমাকে ফোন দিয়ে বলে সে (ছোট ছেলে) মাদ্রাসার হেফজে খানার হাফেজ ওলিউল্লাহ হুজুরের মোবাইল চুরি করছে দেখে মাদ্রাসার কিছু ছাত্র ও রানা মেম্বারের লোকজন তাকে মারধর করছে।’
তিনি জানান, ছেলে মোবাইল ফোন চুরি করলে তো পালিয়ে চলে যাওয়ার কথা, কিন্তু ফোনটি মাদ্রাসাতেই পাওয়া যায়। অপবাদ দিয়ে ছেলেকে মারধর করা হয়েছে। তিনি এর বিচার দাবি করেছেন।
ওই কিশোর বলে, ‘সকালে বড় ভাইয়ের সঙ্গে মাদ্রাসায় কাজে গেলে মিস্ত্রি বলে কাজ হবে না। সেখান থেকে বের হওয়ার সময় শুনি হুজুরের মোবাইল চুরি হইছে। তারপর মাদ্রাসার হুজুর ও স্থানীয় লোকজন আমাকে সন্দেহ করে মারধর করে এবং তার কিছুক্ষণ পর আমার মাথার চুল কেটে দেয় রানা মেম্বার, রিপন মুন্সিসহ কয়েকজন।’
ঘটনা সত্য জানিয়ে পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো. রানা বলেন, ‘ছেলেটা আগেও কয়েকবার বিভিন্ন মানুষের বাসা থেকে চুরি করছে। তাই তাকে শিক্ষা দেয়ার জন্য মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়া হয়েছে।’
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাহাদাৎ হোসেন মাসুদ জানান, এমন কিছু হয়ে থাকলে তা অবশ্যই অন্যায় হয়েছে। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।