চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, সদস্য মোহাম্মদ হোসেনসহ ৫ জনের নামে ৩ জানুয়ারি উকিল নোটিশ পাঠান জায়েদ খান।
নোটিশে জায়েদ খান বলেন, শিল্পী সমিতি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি আপিল বোর্ড আর ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত হয়েছে। তাই ২৯ তারিখের পর আপিল বোর্ডের কাজ করার ক্ষমতা নেই।
তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে আপিল করার সুযোগ ছিল। সে সুযোগ নেন নিপুণ, তিনি বাতিল ভোটগুলো যাচাই ও পুনঃগণনার আবেদন করেন এবং হেরে যান।
তবে যে আবেদনের জন্য সাধারণ সম্পাদক বদলে গেলেন সেই অভিযোগটি অর্থাৎ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জিতে থাকা জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের অভিযোগটি ২৯ জানুয়ারি রাতে আসে বলে জানান সোহান।
যদিও তফসিলে উল্লেখ আছে, আপিল করা যাবে ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত, তারপরও কেন রাতে করা অভিযোগ বৈধ হবে?
এ বিষয়ে সোহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তফসিলে উল্লেখ আছে ২৮ জানুয়ারি নির্বাচন এবং সেইদিন নির্বাচনের ফল প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু ফল দিতে দিতে পরদিন (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৬টা বেজে যায়। যেহেতু ফল দিতে দেরি হয়েছে, সেহেতু আপিলের সময়ও বাড়া উচিত।’
শুধু শিল্পী সমিতি নয়, পরিচালক সমিতির নির্বাচনের ফলও বিগত সময়গুলোতে গভীর রাতে হয়েছে। কিন্তু তখন তো এমন কথা শোনা যায়নি যে, আপিলেরও সময় বাড়বে?
এ সংক্রান্ত প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি তো এবারই প্রথম। অনেক কিছুই নতুন। তাই অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নেইনি। আমরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাহায্য চেয়েছি। তারপর আমরা পরবর্তী কাজ করেছি।’
২৯ জানুয়ারি দুপুরের পর আপির বোর্ড বিলুপ্ত হয়ে গেছে- জায়েদের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোহান বলেন, ‘এমন কোনো নিয়ম তফসিলে বা শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্রে নেই। দুপুর ১টা পর্যন্ত আপিল করা যাবে মানে এই নয় যে ওই সময় পর্যন্ত আপিল বোর্ড কার্যকর থাকবে। নির্বাচন কমিশন ও আপিল বোর্ড থাকবে নতুন কমিটি শপথ নেয়া পর্যন্ত।’
যদিও নির্বাচনের তফসিল বা গঠনতন্ত্রে নতুন কমিটিকে শপথ নেয়ার কোনো নিয়ম নেই। বিদায়ীরা দায়িত্ব ও হিসাব নতুনদের বুঝিয়ে দিলেই হলো। তারপরও আনুষ্ঠানিকতার জন্য শিল্পীরা শপথ পড়ে আসছেন।
রোববার বিকেলে এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয় শপথ অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেন কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে বিজয়ীরা। তবে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে জয়ীরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।