এত নাম, এত খ্যাতি, এত সুখ আর সমৃদ্ধি। তবুও কী সফল বলা চলে একটা মানবজীবনকে? এ প্রশ্নের হয়তো বিভিন্ন রকম অর্থ আছে। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, ‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।’ যেন হিসাব মেলে না কখনই। সবকিছু পেয়েও হঠাৎ মনে হয় কিছুই পেলাম না, কিছু নেই!
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরকেও কী তবে এমনই বিরহ পেয়েছিল কখনও! একটি সাক্ষাৎকারে যেন অনেকটা এরই সহজ স্বীকারোক্তি এসেছিল তার মুখে।
মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রোববার ৯২ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে এই সুর সম্রাজ্ঞীর। মৃত্যুর পর তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, জাভেদ আখতারকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে নিজের শেষ ইচ্ছা জানিয়েছিলেন নাইটিঙ্গেল অফ ইন্ডিয়া খ্যাত লতা। জাভেদ জানতে চেয়েছিলেন, পরের জন্মে কী হতে চান লতা?
বিষণ্ণ হাসি হেসে বলে ফেলেছিলেন কিংবদন্তি গায়িকা, ‘আর যেন জন্মাতে না হয়! যদি জন্মাতেই হয়, তা হলে অন্য কিছু হব। লতা মঙ্গেশকর হয়ে যেন আর না জন্মাই।’
বাস্তবে তিনি কী সুখী ছিলেন না? গানের সাত সুর তার বশে আজীবন। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সমাজে তিনি ‘একা নারী’ খ্যাতির চূড়ায় উঠে এসেছিলেন। তার পরও কী কারণে লতার এই ইচ্ছা?
এসব প্রশ্নের উত্তরও রয়েছে গায়িকার কন্ঠে। হাসিমুখে আক্ষেপের কণ্ঠে তিনি এই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘লতা মঙ্গেশকর হতে গিয়ে বা হওয়ার পরে আমায় যে কী পরিমাণ কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে, সে শুধু আমিই জানি।’