‘যারে যারে উড়ে যা রে, পাখি ফুরালো প্রাণের মেলা, শেষ হয়ে এলো বেলা’- সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরের গাওয়া এ গানের মতোই যেন বেলা শেষে প্রাণের মেলা ফুরালো তার। অজানা গন্তব্যে উড়ে গেলেন কিংবদন্তি এ সংগীতশিল্পী।
কোনো বাঁধনেই বেঁধে রাখা যায়নি লতাকে, রোববার ৯২ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তার।
লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পর উঠে এসেছে তার পারিবারিক জীবন, প্রেম ও বিয়ে না করার মতো ব্যাপারগুলোও। স্বজন, কাছের মানুষ ও ভক্তরা জানিয়েছেন সেসব কথা।
একটা সময় নাকি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন লতা; তবে বিয়েটা আর করা হয়নি। এ নিয়ে অবশ্য রহস্য আছে ঢের। শুধুই কি গানের জন্য দাম্পত্যকে জীবনে আনলেন না এই শিল্পী?
আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, লতা মঙ্গেশকর একসময় প্রেমে পড়েছিলেন। কিন্তু তার সেই ভালোবাসা পূর্ণতা পায়নি। প্রেমের ব্যর্থতাই কি তবে আরও বেশি করে সংগীতকে আঁকড়ে ধরতে সাহায্য করেছে?
শোনা যায়, রাজস্থানের দুঙ্গারপুরের রাজ ঘরানার রাজ সিংয়ের প্রেমে পড়েছিলেন লতা। তার ভাইয়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সাবেক এই সভাপতির সঙ্গে লতার পরিচয়।
প্রেম এসেছিল। লতার গানে মুগ্ধ ছিলেন রাজ সিং। কিন্তু সেই প্রেম গভীর বন্ধনে পৌঁছায়নি।
রাজ ঘরানার ছেলে রাজ সিং নাকি বাবা-মাকে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, কোনো সাধারণ পরিবারের মেয়েকে তিনি রাজবংশের বউ করে আনবেন না। সেই প্রতিজ্ঞা বজায় রেখেছিলেন। তিনিও আর বিয়ে করেননি।
লতার চেয়ে ৬ বছরের বড় রাজ সিং আদর করে লতাকে মিট্টু বলে ডাকতেন। তার পকেটে সব সময়ে থাকত একটি রেকর্ডার। তাতে রেকর্ড করা থাকত লতা মঙ্গেশকরের জনপ্রিয় কিছু গান।
২০০৯ সালে মারা যান লতার জীবনের অন্যতম কাছের মানুষ রাজ সিংহ।