স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিগগিরই সশরীরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী)।
বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলন চত্বরে এ মানববন্ধন হয়। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির পায়রা চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মানববন্ধনস্থলে এসে শেষ হয়।
মানববন্ধন থেকে সংগঠনের নেতারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিগগিরই সশরীরে ক্লাস খুলে দেয়া, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের সব বেতন-ফি মওকুফ, জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২০ বাতিল ও ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোনো বিষয় সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। যদি নেয়ও তাকে বোঝাতে হবে কেন এই সিদ্ধান্ত। করোনা সংক্রমণ বাড়লেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হবে এটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘ইউনিসেফের করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের করণীয় নীতিমালা হলো সংক্রমণ বাড়লে সবার শেষে বন্ধ করতে হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সবার আগে খুলে দিতে হবে। ইউনিসেফ আবারও তা মনে করিয়ে দিলেও সরকার সেটির তোয়াক্কা করেনি।’
সংক্রমণ চিন্তা থেকে নয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে দমন করার জন্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে বলে মনে করেন জয়দীপ।
তিনি বলেন, ‘স্কুল বন্ধের নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংক্রমণ চিন্তা থেকে আসেনি। রাজনীতি ও সমাজ সচেতন শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবে একত্রিত হতে না পারে সে জন্য সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর গত বছরের অক্টোবরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও কিছু দিন আগে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের দোহাই দিয়ে আবার বন্ধ করে দেয়া হয়। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে, মেলা চলছে, বিপিএল চলছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে সশরীরে ক্লাস চালু রাখা সম্ভব ছিল। আমরা অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে ক্লাস খুলে দেয়ার দাবি জানাই।