বরিশাল আদালত চত্বরে বাকেরগঞ্জের দাড়িয়াল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সমর্থক ও আইনজীবী সহকারীদের হামলায় গুরুতর আহত ২১ সাংবাদিক হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।
তবে তাদের সুচিকিৎসায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক।
নিউজবাংলার সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সাংবাদিকদের কথা হয়। এ সময় তাদের অভিযোগ, রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করা হয়েছে তাদের।
বাংলার বনে পত্রিকার সাংবাদিক শাফিন আহম্মেদ রাতুল জানান, বুধবার জালিয়াতি মামলায় দাড়িয়ালের ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হাওলাদারসহ ৫ জনকে জেলহাজতে পাঠায় আদালত।
আদালত থেকে তাদের হাজতে নেয়ার সময় ছবি তুলতে গেলে চেয়ারম্যানের ভাইয়ের ছেলে সুজন হাওলাদার এবং আইনজীবী সহকারী নুরুজ্জামান ও সজলসহ কয়েকজন তাদের ছবি তুলতে বাধা দেন।
বাধা উপেক্ষা করে ছবি তুলতে গেলে ফটো সাংবাদিকদের ওপর তাদের হামলায় ২৫ জন আহত হন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২১ জন।
বরিশাল কাগজের সাংবাদিক আহসান আকিব বলেন, ‘আমাকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়েছে। সাড়া শরীর ব্যথায় নড়তে পারছি না।’
আজকের বরিশালের সাইফুল ইসলাম জানান, ১ লাখ টাকার বিনিময়ে চেয়ারম্যান শহিদুল, নুরুজ্জামান, সজলসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে চুক্তিতে যান যেন কেউ তার ছবি তুলতে না পারে।
সুজন হাওলাদার প্রথমে টাকা দিয়ে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে তিন দফায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন তারা।
তিনি বলেন, ‘হামলায় আহত হয়ে আমরা হাসপাতালে কাতরাচ্ছি। আমাদের মোবাইল ও নগদ টাকা লুট করা হয়েছে। দুজনের মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে এবং ভাঙচুরও করা হয়েছে আরও ৭টি মোটরসাইকেল।’
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এইচ এম সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আহত সাংবাদিকদের মধ্যে অনেকে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। চিকিৎসার বিষয়টি আমি নিজেই মনিটরিং করছি।’
এ ঘটনায় বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এস জাকির হোসেন বলেন, ‘২১ জন সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এ ধরনের ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ জানাই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় বসবেন। সেখানে আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দও উপস্থিত থাকবেন।’