বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষার্থী নির্যাতন: ঢাবির হল থেকে তিনজনকে বহিষ্কার

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:০৭

হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বাছির বলেন, ‘নির্যাতনের ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল ভুক্তভোগী। তদন্ত কমিটি তিনজনের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। সে অনুযায়ী তাদেরকে ৬ মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে টিভি রুমে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে তিন শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করেছে হল প্রশাসন।

বুধবার বিকেলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক বাছির বলেন, ‘সেদিনের ঘটনায় মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল ভুক্তভোগী। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম। কমিটি তদন্তে তিনজনের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। সে অনুযায়ী তাদেরকে ৬ মাসের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করেছি।’

বহিষ্কৃতরা হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের কামরুজ্জামান রাজু, ইতিহাস বিভাগের হৃদয় আহমেদ কাজল ও সমাজকল্যাণ বিভাগের ইয়ামিন ইসলাম। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী।

বিজয় একাত্তর হলে গত ২৬ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এদিন ছাত্রলীগের গেস্টরুমে নির্যাতনের শিকার হন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী আকতারুল ইসলাম। সেদিন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ‘শাস্তিস্বরূপ’ আধ ঘণ্টা বিদ্যুতের বাল্বের দিকে তাকিয়ে থাকার নির্দেশ দেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। এতে কয়েক মিনিট পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন আকতারুল। এরপর তাকে গণরুমে পাঠানো হলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেখান থেকে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে ঘটনার পরদিন আখতারুল হল প্রশাসনের কাছে ছয়জনের নামে লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ মিরানকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে বুধবার তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, ‘আমরা বাদী-বিবাদীর কথা শুনেছি, সিসিটিভি ফুটেজও দেখেছি। সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই হল প্রভোস্টের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছি। আমরা তিনজনের বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছি। বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাদের জড়িত না থাকার বিষয়টি বাদীও নিশ্চিত করেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর