প্রতি বছর আলাদা করে প্রতিটি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সরস্বতী পূজার আয়োজন করে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে থাকা বিধিনিষেধে এবার কেন্দ্রীয়ভাবে শুধু একটি পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এরইমধ্যে একটি বাজেট দেয়া হয়েছে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও পূজা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। পূজা সংক্রান্ত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান তিনি।
নিউজবাংলাকে অরুণ কুমার গোস্বামী বলেন, ‘পূজা নিয়ে আমরা একটি বাজেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দিয়েছি।’
প্রতি বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ ও ২টি ইনস্টিটিউটে আলাদাভাবে সরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়। করোনার কারণে সে পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হচ্ছে।
পূজা কমিটির আহ্বায়ক মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও জবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিঠুন বাড়ৈ বলেন, ‘এবার পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি পূজার আয়োজন করা হবে। পূজায় কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হবে না। ছাত্রলীগ দেখবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে সুন্দরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই।’
সবশেষ ২০২০ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনের মধ্যে দিয়ে স্বরস্বতী পূজা উদযাপন করা হয়।
পূজা উদযাপন কমিটিতে যারা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও জবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি মিঠুন বাড়ৈ। সদস্য সচিব হিসেবে আছেন কেয়া ঘোষ।
এ ছাড়া কমিটিতে সজীব বৈদ্য, জয় শর্মা, সৌরভ দাস, সবুজ সরকার ও অভিজিৎ বিশ্বাসকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করা হয়েছে।
সদস্য হিসেবে আছে মৈত্রী বাড়ৈ, সুমিত দত্ত, সৌরভ ঘোষ, সম্পদ হালদার, শুভ পাল, অন্তি সাহা, পিয়াল দাস অনুপ, শিমু তালুকদার, পারিজাত বিশ্বাস, সুচন্দা রাণী দেব, সুবর্ণা সাহা, পর্না নন্দী, আদীপ্ত শর্মা ও গোপাল রায়।