বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনা: ৩০ দিনে শনাক্ত ২ লাখ ছাড়িয়েছে

  •    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:৪৩

২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৫০১ জনের দেহে। এ সময়ে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন ৩১ জন। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় দেশে ভাইরাসটি শনাক্ত সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। চলতি জানুয়ারির ৩০ দিনে সংক্রমণের এই সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৩১১ জনের। আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৬০৭ জনের।

সোমবার সকাল পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৫০১ জনের দেহে। এ সময়ে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন ৩১ জন। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত মোট করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩৩ জনের দেহে। ভাইরাসটি সংক্রমণে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৩৯৪ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ৫ শতাংশের ওপরে। ২৩ জানুয়ারি এই হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। তবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ জানুয়ারি শনাক্ত হার কিছুটা কমে আসে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬৫টি ল্যাবে ৪৫ হাজার ৩৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

চলতি জানুয়ারি মাসের ৩০ দিনে দেশে রেকর্ড করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৩ হাজার ৩৪৬ জন। এটা দেশে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ।

সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে শনাক্ত-মৃত্যু

করোনা সংক্রমণে এক সপ্তাহের ব্যবধানে (১৭ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি) মৃত্যু বেড়েছে ৭৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং শনাক্ত হার বেড়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে শনাক্ত হয়েছিল ৬৭ হাজার ৪২৫ জন।

সবশেষ এক সপ্তাহে মোট সংক্রমণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৯৬ জন। এ সময়ে মৃত্যুর হারও বেড়েছে। গত সপ্তাহে মৃত্যু হয় ৭৯ জনের। তা বেড়ে এ সপ্তাহে দাঁড়িয়েছে ১৪০ জন। শেষ সপ্তাহে মারা যাওয়া রোগীদের ৭৭ শতাংশই টিকা নেননি।

শনাক্তের ৭০ শতাংশই ঢাকায়

দেশে প্রতিদিন যত রোগী শনাক্ত হচ্ছে তার বড় অংশই ঢাকা বিভাগের। গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগে ২৫ হাজার ৯৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ২৮৩ জনের দেহে।

গত ৪ অক্টোবর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর ৭ জানুয়ারির আগ পর্যন্ত শনাক্ত হার পাঁচ শনাক্তের নিচেই ছিল। এই তারিখে সংক্রমণের হার প্রথমবারের মতো ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা দেখা দেয়।

এরপর থেকে সংক্রমণের হার প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে। গত ২৮ জানুয়ারি সংক্রমণের হার দাঁড়ায় রেকর্ড ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে পরদিন থেকেই সংক্রমণের হার কমতে থাকে।

করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু এতদিন বেশ কমই ছিল। তৃতীয় ঢেউয়ে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায় শনিবার। রোববার তা বেড়ে ৩৪ জন দাঁড়ায়। সবশেষ সোমবার পূববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ। বাকি ১১জন নারী। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এছাড়া খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫, রংপুর ও ময়মনসিংহে তিনজন করে এবং রাজশাহী ও সিলেটে একজন করে মারা গেছেন।

তৃতীয় ঢেউয়ে দেশে বেশি ছড়াচ্ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। পাশাপাশি দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ছড়ানো ডেল্টাও রয়েছে। ওমিক্রনে মৃত্যু কম হলেও ডেল্টার কথা ভেবে দেশবাসীকে সতর্ক করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে বিধিনিষেধ চলাকালেও মাস্ক পরা, জটলা না করা, বাসে গাদাগাদি করে যাত্রী তা তোলার নির্দেশগুলোর বাস্তবায়ন হচ্ছে না বললেই চলে।

এ বিভাগের আরো খবর