আলোচিত ই-কমার্স ইভ্যালির লকার ভেঙে কোনো মূল্যবান সম্পদ বা অর্থ পায়নি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনায় গঠন করা বোর্ড।
ইভ্যালির ধানমন্ডি কার্যালয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সোমবার বেলা ৩টায় দুটি লকার ভাঙার কাজ শুরু করে বোর্ডের পরিচালক ও সদস্যরা।
প্রথম লকার ভাঙতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট। পরে লকারের ভেতর পাওয়া যায় সিটি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংকের বেশ কয়েকটি ব্লাংক চেক, ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বাচ্চাদের পড়ার বই। লকারে কোনো ধরনের অর্থ পায়নি বোর্ড।
ইভ্যালির পরিচালনায় আদালতের গঠিত বোর্ডের সদস্য এবং ঢাকা জেলা বিভাগের মনোনীত ম্যাজিস্ট্রেট, ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে বিদ্যুৎচালিত কাটারে লকার ভাঙার কাজ শুরু হয়।
প্রথম লকার ভাঙার পর এক ব্রিফিংয়ে পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম লকার থেকে মূল্যবান কিছু পাব, অথবা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাব। কিন্তু দেখতেই পাচ্ছি সে রকম কিছু হলো না, এখন আমরা দ্বিতীয় লকারটি ভেঙে দেখব।’
ইভ্যালির গ্রাহকদের ভবিষ্যৎ কী এমন প্রশ্নের বিচারপতি মানিক বলেন, ‘সেটি এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কারণ এখনও আমাদের কার্যক্রম শেষ হয়নি। অডিট নিষ্পত্তি হয়নি। যেহেতু অডিট নিষ্পত্তি হয়নি, এমনকি এর প্রক্রিয়া এখনো শুরু করা যায়নি, তাই কবে নাগাদ এই অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম শেষ হবে কিংবা ইভ্যালির কী আছে বা গ্রাহকদের কী হবে তা এখনই সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না।’
তার আগে ইভ্যালির লকারে কী আছে সেটি জানতে পাসকোড চাওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেলের কাছে। বোর্ডের কাছে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন।
পরে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় লকার ভাঙার।
লকার ভাঙার কাজে উপস্থিত ছিলেন আদালতের গঠন করে দেয়া ইভ্যালির বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির, বোর্ডের সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব রেজাউল আহসান, ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ, চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট ফখরুদ্দিন আহমেদ, ঢাকা জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার আশফিয়া সিরাত এবং ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল।