বিশ্বসেরা ক্রিকেট অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান শেয়ার কেনা-বেচায় জড়িত আগে থেকেই। এবার তিনি ব্রোকারেজ হাউস নিয়ে আসছেন যেখানে অন্যরা শেয়ার কেনা-বেচা করবে।
সাকিবের অনুমোদন পাওয়া ব্রোকারেজ হাউসের নাম মোনার্ক হোল্ডিংস। মঙ্গলবার থেকেই সেখানে শেয়ার কেনা-বেচা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির আইটি প্রধান রাইসুল হাসান।
সোমবার থ্রি আই সিকিউরিটিজ ও রহমান ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট নামে দুটি ব্রোকারেজ হাউসে শেয়ার কেনা-বেচা শুরু হওয়ার পর রাইসুলের সঙ্গে কথা হয় নিউজবাংলার।
তিনি বলেন, ‘একটি সিকিউরিটিজ হাউস আজ লেনদেন শুরু করেছে। আমাদের সব কাজ শেষ। কাল (মঙ্গলবার) থেকে মোনার্ক হোল্ডিংয়ে লেনদেন উদ্বোধন করা হবে।’
সকালে মতিঝিলে থ্রি আই সিকিউরিটিজ হাউসটির উদ্বোধন করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া।
গত ৩০ জানুয়ারি ডিএসই ওয়েবসাইটে চারটি ব্রোকারেজ হাউসকে স্টক ব্রোকার রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, তিন ডিজিটের আইডি এবং ছয় ডিজিটের নম্বর দেয়া হয়।
হাউসগুলোর মধ্যে থ্রি আই ও রহমান ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ছাড়াও আছে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের মোনার্ক হোল্ডিং ও সোনালী সিকিউরিটিজ।
থ্রি আই সিকিউরিটিজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কোম্পানিটির কর্ণধার ইস্তাক আহমেদ বলেন, ‘সাধারণত ব্রোকারেজ হাউসগুলো থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো পরামর্শ দেয়া হয় না। কিন্তু আমরা পুঁজিবাজারের বিভিন্ন দিক গবেষণার মাধ্যমে বিও হিসাবধারীদের পরামর্শ দেব।’
অনুষ্ঠানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ডিএসইর এমডি তারিক আমিন ভূইয়া জানান, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে শেয়ার কেনার টাকা জমা দেয়ার একটি চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ‘ব্যাংক হিসাব না থাকায় অনেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন না। কিন্তু ব্যাংক হিসাবের বিকল্প বিকাশ, নগদ ও উপায়-এ যাদের অ্যাকাউন্ট আছে, সেগুলো যদি লিংক করা যায় তাহলে বাজারে বিনিয়োগ আরও সহজ হবে। এতে নতুন বিনিয়োগ আসারও সম্ভাবনা আছে।’
তিনি বলেন, ‘বিকাশের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে যাতে বিও হিসাবের সঙ্গে বিকাশের অ্যাকাউন্ট লিংক করা যায়। তখন মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের জনপ্রিয়তা পুঁজিবাজারেও ব্যবহার করা যাবে।’
গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নতুন ৫৫টি ব্রোকারেজ হাউস বা ট্রেককে (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) লাইসেন্স দেয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
নতুন করে ট্রেক বা ব্রোকারেজ হাউসের সার্টিফিকেট পেতে ৬৬টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এখান থেকে ডিএসই ১৫টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন বাতিল করে ৫১টি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দিতে বিএসইসির কাছে পাঠায়। পরে আরও ৪টি প্রতিষ্ঠান যুক্ত করা হয়।
গত ২০ জানুয়ারি আরও তিনটি ব্রোকারেজ হাউস অনুমোদন পাওয়ায় এখন এ তালিকা বেড়ে হয়েছে ৫৮টি। এতে ডিএসইর সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউস বা ট্রেকের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৮৩টিতে।