করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ বাড়লেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ। সরকার শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে চায়, এটি করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় রয়েছে। সে সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
‘এরই মধ্যে আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা-পর্যালোচনা করে স্কুল খোলা না বন্ধ, বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’
গত কয়েক দিনে দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। শনাক্তের হারও সবচেয়ে বেশি রয়েছে।
সরকার করোনা সংক্রমণ রোধে চলতি মাসের ১৩ তারিখ ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে ২১ জানুয়ারি থেকে পাঁচটি বিধিনিষেধ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সেদিন থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার।
প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় স্কুল-কলেজ। পরে খুলে দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ও।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ওপরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে। ইউনিসেফের বিষয়টিও আমরা লক্ষ করছি। একইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতি গভীরভাবে লক্ষ্য করছি। এ ছাড়া আমাদের আরও সময় হাতে আছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করব। করোনা নিয়ন্ত্রণের যে জাতীয় কমিটি রয়েছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব, তারা কি সাজেশন দেয় সেটিও আমরা দেখব। সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
যুক্তরাষ্ট্র শিশুদের সুরক্ষা দিতে ৫ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দিচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশে কোনো উদ্যোগ নেবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আমাদের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং সচিব এ বিষয়ে আলোচনা করেছে।’
আলোচনার বিষয়টি নিয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, তারা বিষয়টি নিয়ে পরে জানাবে। এ ছাড়া টিকার ডোজ বিষয়ে কিছুটা তারতম্য রয়েছে। বিষয় বিবেচনা করে তারা যখন আমাদের এ বিষয়ে অনুমতি দেবে, তখনই আমরা পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম হাতে নেব।’