বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এনামুল হোসেনের বিরুদ্ধে এবার টাকা নিয়ে টিকা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিদেশগামী এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ফাইজারের টিকা দিয়েছেন- এমন অভিযোগ ওঠার পর তিনি টাকা ফেরতও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বছরের ১৮ অক্টোবর মোবাইলে কথা বলা অবস্থায় হাসপাতালে এক ব্যক্তিকে টিকা দেয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন।
বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের কামাল হোসেন জানান, গত বুধবার বরগুনা সদর হাসপাতালে করোনা টিকার জন্য তিনি নিবন্ধন করেন। শনিবার টিকা দিতে হাসপাতালে যান। এ সময় এনামুল কবির দুই হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে ফাইজারের টিকা দেয়ার প্রস্তাব দেন।
প্রস্তাবে রাজি হয়ে নগদ এক হাজার টাকা দিয়ে টিকা গ্রহণ করেন কামাল। বাকি টাকা পরে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি চলে আসেন। রাতে এনামুল বাকি এক হাজার টাকার জন্য ফোন করে পীড়াপিড়ি করতে থাকেন।
পরে বিষয়টি কামাল তার মামা জেলা যুবলীগ নেতা সাহাবুদ্দিন সাবুকে জানালে তিনি এসে এনামুলের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেন।
বরগুনা জেলা যুবলীগের সদ্যবিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর হাসপাতালে গিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব উদ্দীনকে বিষয়টি অবগত করি। তিনি এনামুলের কাছ থেকে টাকা ফেরত এনে দেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এনামুল হোসেন বলেন, ‘আমি টাকার বিনিময়ে টিকা দেইনি। টাকা ফেরতের বিষয়টি ভিত্তিহীন।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সোহরাব উদ্দীন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনার সিভিল সার্জন মুহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে টিকা দেয়ার কোনো বিধান নেই। বিষয়টি শুনেছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’