কবিরাজি চিকিৎসার নামে দুই কিশোরীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়ার দায়ে বৃদ্ধের ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায় আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান বুধবার দুপুরে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামির নাম আল আমিন আকিল। ৬৬ বছরের আকিলের বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রামের চান্দাই গ্রামে। তিনি পলাতক।
প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগানোর টোটকা দেয়ার কথা বলে ২০১৫ সালের নভেম্বরের বিভিন্ন সময়ে এলাকার দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন আল আমিন। সেসব ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সেগুলো স্থানীয়দের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন।
এ ঘটনার পর ওই কিশোরীদের একজনের বাবা বড়াইগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ নাটোরের আদালতে আল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ধারার অংশটির বিচারের জন্য মামলাটি নাটোরের আদালত থেকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। পরে রাজশাহীতে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন হলে এটি এখানে যায়।
৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলাটির রায় ঘোষণা করেছে আদালত।
পিপি ইসমত বলেন, রাজশাহীর আদালতে শুধু ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার বিচার হলো। ধর্ষণের জন্য মামলার অংশটির বিচার চলছে নাটোরের আদালতে। মামলা একটি হলেও ধারা আলাদা থাকার কারণে বিচারকাজ দুই আদালতে হয়েছে।