বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাবি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ঢাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:০৮

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা জানান, শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলবে। ভাস্কর্যের পাদদেশে রাতেও তারা অবস্থান করবেন।

সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবি এবং শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

সংগঠনটির সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা জানান, শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কর্মসূচি চলবে। ভাস্কর্যের পাদদেশে রাতেও তারা অবস্থান করবেন।

বিন ইয়ামিন বলেন, ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যেখানে যৌক্তিক দাবিতে আমরণ অনশন করে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন, সেখানে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই আমরা রাজপথে নেমে এসেছি।’

তিনি বলেন, ‘অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অথচ এই অমানবিক সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর কর্ণপাত হচ্ছে না। তারা কোনো ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খুঁজছেন।’

ছাত্রলীগের সমালোচনা করে বিন ইয়ামিন বলেন, ‘শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর এ ধরনের বর্বর হামলার পর শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের এক শ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও এখনো ছাত্রলীগ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে টুঁ শব্দও করার সাহস পায়নি। এটি তাদের ব্যর্থতা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আন্দেলনরত শিক্ষার্থীরা যেন নিজেদের একা অনুভব না করেন সেজন্য আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি। আমরা তাদের এই বার্তা দিতে চাই, আপনাদের সঙ্গে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা রয়েছে।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী।

১৬ জানুয়ারি বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে পুলিশ।

এরপর পুলিশ ৩০০ জনকে আসামি করে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তার পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে নামেন।

বাসভবনের সামনে অবস্থানের কারণে গত ১৭ জানুয়ারি থেকেই অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। ১৯ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটা থেকে উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরণ অনশনে বসেন ২৪ শিক্ষার্থী। এরপর থেকেই চলছে শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি।

এ বিভাগের আরো খবর