রংপুরে বাল্যবিয়ে নিরসনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠিসহ অংশীজনদের মতামত নিয়ে তৈরী নির্দেশিকা ‘অ্যাডভোকেসি টুলকিট’ এর মোড়ক উন্মোচন হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে আরডিআরএস বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে মোড়ক উন্মোচন করেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার। মালালা ফান্ডের সহযোগিতায় পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি) ও বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক ফাউন্ডেশন (বিডিওএসএন) এর উদ্যোগে অনুষ্ঠানে সরকারী-বেসরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, আইনজীবি, ধর্মীয় নেতা, কাজী, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পপি’র কনসোর্টিয়াম কো-অর্ডিনেটর কাজী আব্দুল্লাহ রিজভান জানান, সরকারী জরিপ অনুযায়ী রংপুর বিভাগে বাল্যবিয়ের হার ৫৭ দশমিক ৯ ভাগ। বাল্যবিয়ের জন্য চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে- দারিদ্রতা ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, জেন্ডার অসমতা ও বৈষম্যমূলক মনোভাব, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা ও হয়রানির আশংঙ্কা, যৌতুক নির্ভর বিয়ে ও সৌন্দর্য সংক্রান্ত ভ্রান্ত ধারণা, উপযুক্ত পাত্র হারানোর ভয়, সাংষ্কৃতিক ও ধর্মীয় অপব্যাখ্যা, আইনী বিধান সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, ডিজিটাল মাধ্যমের কুফল, আইনের ফাঁকফোকর ও দূর্বল প্রয়োগ, সমাজকর্মী ও সহায়তা সেবার অভাব, গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সীমিত অংশগ্রহণ, স্কুল থেকে ঝরে পড়া, পারিবারিক অবহেলা ও চাপ, বিয়ে নিবন্ধকের স্বল্পতা, সমন্বয় ও নজরদারীর অভাব, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অবহেলা বা নিস্ক্রিয়তা। এ থেকে উত্তরণে অ্যাডভোকেসি টুলকিটে দেয়া নির্দেশিকা অনুসারে একজন সচেতন নাগরিক বাল্যবিয়ে রোধ করতে পারে। সেই সাথে বাল্যবিয়ে রোধে সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে এক সাথে কাজ করতে হবে। আরডিআরএসের অ্যাডমিন ও জেনারেল সার্ভিস বিভাগের প্রধান নজরুল গণি’র সভাপতিত্বে বাল্যবিয়ে রোধে নানা সুপারিশ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আইনজীবি আফরোজা শারমিন কনা, স্বর্ণ নারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মঞ্জুশ্রী সাহা, সমাজকর্মী খ.ম. সম্রাট, কুড়িগ্রাম সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মুহা. হুমায়ুন কবীর, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সীডের প্রধান নির্বাহী সারথী রানী সাহা, রংপুর মডেল মসজিদের ইমাম জাহিদুল ইসলাম, শিক্ষক উত্তম চক্রবর্তী, সাংবাদিক শফি খান, মেরিনা লাভলী, ফরহাদুজ্জামান ফারুকসহ অন্যরা।