বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বন্ধ হচ্ছে মাংস আমদানি

  •    
  • ২৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:৫৮

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘বিদেশ থেকে যাতে মাংস আমদানি না হয় সে ক্ষেত্রে আমরা কৌশলগত নীতি নির্ধারণ করেছি। কারণ আমাদের দেশে পর্যাপ্ত গবাদিপশু রয়েছে। দেশেই পর্যাপ্ত মাংস উৎপাদন হচ্ছে। কেন বিদেশ থেকে আমরা মাংস আনব? পর্যায়ক্রমে সেগুলো বন্ধের দিকে আমরা যাচ্ছি। সরকার এ ব্যাপারে সক্রিয় রয়েছে।

মাংস আমদানি বন্ধে কৌশলগত নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রাজধানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে যাতে মাংস আমদানি না হয় সে ক্ষেত্রে আমরা কৌশলগত নীতি নির্ধারণ করেছি। কারণ আমাদের দেশে পর্যাপ্ত গবাদিপশু রয়েছে। দেশেই পর্যাপ্ত মাংস উৎপাদন হচ্ছে। কেন বিদেশ থেকে আমরা মাংস আনব? পর্যায়ক্রমে সেগুলো বন্ধের দিকে আমরা যাচ্ছি। সরকার এ ব্যাপারে সক্রিয় রয়েছে।

‘তবে সব সময় শুধু সরকারের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। সরকার বেসরকারি খাতকে উদ্বুদ্ধ করছে, উৎসাহিত করছে, সহযোগিতা দিচ্ছে। এ খাতসংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা আমরা চাই।’

এ সময় প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণকেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদিত সামগ্রী যাতে বিদেশে রপ্তানি করা যায় সে জন্য আমরা বিশ্বের উল্লেখযোগ্য দেশগুলোতে বাজার সৃষ্টির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বেশ কয়েকটি দেশ আমাদের দেশ থেকে মাছ-মাংস আমদানির ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।

‘এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রাণিজাত খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে যারা জড়িত আছেন, তাদের নিশ্চিত করতে চাই যে বিশ্ববাজারে আপনাদের উৎপাদিত সামগ্রী ছড়িয়ে দিতে সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘করোনাকালে খামারিদের উৎপাদিত সামগ্রী যাতে মুখ থুবড়ে না পড়ে, সে জন্য দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থার মাধ্যমে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রির ব্যবস্থা করেছি। মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

‘বিদেশ থেকে আমদানিকৃত মাছের বা প্রাণীর খাবার বিমানবন্দর, নদীবন্দর বা সমুদ্রবন্দরে যাতে আটকে না থাকে সে জন্য আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করে মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্য সামগ্রীর পরিবহন স্বাভাবিক রেখেছি। লক্ষ্য ছিল উৎপাদনকারীরা যাতে বিপদে না পড়ে এবং উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রি করতে পারে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ খাতে শুধু উৎপাদন বৃদ্ধিই নয় বরং উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। বহুমুখীকরণ করতে না পারলে এ খাতকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। দুধ ও মাংস থেকে বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী উপকরণ তৈরির সুযোগ রয়েছে।

এ খাতে সম্পৃক্তদের মাংসের বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে হবে, মাংসজাতীয় পণ্য তৈরির দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করতে হবে। মাংস থেকে চিপস তৈরি হতে পারে, বিস্কুট তৈরি হতে পারে। শুধু মাংস বিক্রির মাধ্যমে এ খাতকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। এ জন্য বহুমুখীকরণ ও ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’

দুধ উৎপাদন ও বিপণন সমস্যা সমাধানে প্রকল্পের আওতায় সরকার কুলিং সেন্টার করে দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘খামারিদের মিল্ক সেপারেটর মেশিন সরবরাহ করছে, উৎপাদিত দুধ সরবরাহের জন্য খামারিদের গ্রোথ সেন্টারের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেয়া হচ্ছে।

এভাবে প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্তদের সুবিধা দেয়ার জন্য সরকার ব্যাপক আকারে পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন ও বিস্তারে শুধু কাজ করলেই হবে না, এর গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে।

‘এ খাতে গুণগত মানসম্পন্ন সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করতে হবে। উৎপাদিত মাংস যেন মানবদেহের জন্য উপযোগী হয়, মাংস থেকে অন্যান্য পণ্য উৎপাদন করলে সেটা যেন মানসম্পন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও আন্তর্জাতিক মানের হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে যে খাবার ব্যবহৃত হবে সেটাও মানসম্পন্ন হতে হবে, মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারে পরীক্ষাকৃত হতে হবে।’

দেশেই মাছ ও প্রাণী খাদ্য তৈরির ওপর জোর দেন প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর