মাদারীপুরের রাজৈরে ২০ বছর আগের অপহরণের পর হত্যার মামলায় ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
এ ছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লা তুল ফেরদৌস সোমবার বিকালে এই রায় দেন।
আসামিরা হলেন, রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ইউনিয়নের আমগ্রামের তরুনী বৈদ্য ও অশোক বৈদ্য, একই গ্রামের পদ বিশ্বাসের ছেলে কালু বিশ্বাস, নিতাই বৈরাগীর ছেলে নরেন বৈরাগী ও কদমবাড়ী ইউনিয়নের বিজয় বেপারী। এর মধ্যে বিজয় বেপারী পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান সিং নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০০২ সালের ১৪ অক্টোবর মধ্যরাতে পূজা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন রাজৈরের আমগ্রামের গুরুপদ বৈদ্যের স্ত্রী রাধা রানী বৈদ্য ও তার দুই সন্তান। পথে দুই সন্তানকে মারধর করে রাধাকে তুলে নিয়ে যান আসামিরা।
এ ঘটনায় রাধার ছেলে বিষ্ণুপদ বৈদ্য অপহরণের মামলা করেন। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় আসামি অশোককে। তিনি স্বীকারোক্তিতে জানান, জমির বিরোধের জেরে রাধাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়। তাকে হত্যা করে মরদেহ বিলে ফেলে দেয়া হয়।
তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাধার মরদেহ ওই গ্রামের পাখুল্লার বিল থেকে উদ্ধার করা হয়।
আইনজীবী সিদ্দিকুর জানান, ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। সেইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
মামলার বাদী বিষ্ণুপদ বৈদ্য বলেন, ‘আমার মাকে সামান্য ১০ শতাংশ জমির জন্যে নির্মমভাবে খুন করা হয়। তখন আমি অল্প বয়সী ছিলাম। র্দীঘ দিন পর হলেও মামলার রায় পেয়ে আমরা খুশি। আরও বেশি খুশি হবো যদি আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। তাহলে আমার মায়ের আত্মা শান্তি পাবে। এদের কোনো ভাবেই যেন ফাঁসি থেকে রক্ষা না হয়।’
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাফর আলী মিয়া বলেন, ‘রায়ে আমার মক্কেলদের ওপর ন্যায় বিচার করা হয়নি। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। আশা রাখি, সেখানে আমরা ন্যায় বিচার পাবো।’