আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে জাতীয় পার্টির কী লাভ হয়েছে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।
আক্ষেপের সুরে তিনি বলেছেন, ‘অনেক আশা করে তিন-তিনবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় এনেছিলেন, কিন্তু কী লাভ হয়েছে জাতীয় পার্টির।’মুন্সিগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধ মিলনায়তনে শনিবার জেলা জাতীয় পার্টির মতবিনিময় সভায় তিনি এমন প্রশ্ন রাখেন।আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পনার কথা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব।
চুন্নু জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে যোগ্য প্রার্থী দেবেন তারা। সেই প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ দ্রুত শুরু করবেন।
আগামীতে জাতীয় পার্টি কোনো জোটে যাবে কি না প্রশ্নে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘উপমহাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচনকালীন জোট হয়। আমাদের দেশেও হয়, হয়েছে। নির্বাচনকালীন জোট এক কথা, ক্ষমতায় যাওয়া আরেক কথা।
‘নির্বাচনকালীন জোট হবে কি না, সেটা সময়ই বলবে। আমরা এখন জোটের কোনো চিন্তা করছি না। যদি জোট হয়, তবে সেটা জি এম কাদেরের নেতৃত্বে হতে পারে। অন্য কারও নেতৃত্বে জোট হবে, সেই চিন্তা আমাদের মাথায় নেই।’ জাপা মহাসচিব বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জে এসেছি নেতা-কর্মীদের কথা শুনতে, তাদের মতামত নিয়েই জেলা কমিটি করতে দলের চেয়ারম্যানকে সুপারিশ করব।
‘দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অনেক আশা করে তিনবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছিলেন। কী লাভ হয়েছে দেশের? কী লাভ হয়েছে জাতীয় পার্টির?’পরক্ষণেই তিনি বলেন, ‘লাভ হয়েছে তাদের, যারা কানাডায় বেগমপাড়া বানিয়েছেন, যারা লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন।’
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আজ সামান্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তারা বিনা ভোটে চেয়ারম্যান হতে চায়, লাঙ্গলের প্রার্থীকে তারা মাঠে দেখতে চায় না। এর জবাব একদিন আওয়ামী লীগকে দিতেই হবে।’দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে চুন্নু বলেন, ‘সংগঠনের কোনো বিকল্প নেই। ক্ষমতায় যেতে চাইলে জনগণের পাশে থাকতে হবে, তাদের পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
জাতীয় পার্টির প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।মুন্সিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুল বাতেন মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ও মীর আবদুস সবুর আসুদ।