করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় শাটডাউন নামে বিধিনিষেধ চলাকালে যে হারে সংক্রমণ হতো, সেই স্মৃতি ফিরে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১০ হাজার ৮৮৮ জনের দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা গত ১০ আগস্টের পর সর্বোচ্চ।
শাটডাউন চলাকালে সেদিন দেশে ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ১৬৪ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সেই দিনটি ছিল শাটডাউনের শেষ দিন। এর পরদিন থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হতে থাকে।
বেশ কয়েক মাস পর দেশের ৬৪ জেলাতেই রোগী পাওয়া গেল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিবৃতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ, সংক্রমণের হার ও মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনার পরীক্ষা হয়েছে ৪১ হাজার ২৯৯ জনের। এদের মধ্যে ২৬.৩৭ শতাংশের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার শাটডাউনের সময়কালের ৫ আগস্টের পর সর্বোচ্চ। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২৭.১২ শতাংশ।
এ নিয়ে টানা ১৩ দিন ৫ শতাংশের বেশি সংক্রমণ ধরা পড়ল। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী আর এক দিন ৫ শতাংশের বেশি সংক্রমণ পাওয়া গেলেই দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ ধরে নিতে হবে।
গত ৪ অক্টোবর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়ে গত ৯ জানুয়ারি। সেদিন সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। এরপর ১৩ দিনে তা পাঁচ গুণ বাড়ল।
বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনার পরীক্ষা হয়েছে ৪১ হাজার ২৯৯ জনের। এদের মধ্যে ২৬.৩৭ শতাংশের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার শাটডাউনের সময়কালের ৫ আগস্টের পর সর্বোচ্চ। সেদিন ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২৭.১২ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী টানা ১৪ দিন সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের বেশি হলে করোনার পরবর্তী ঢেউ ধরে নিতে হবে।
রোগী বাড়লেও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আগের দিন যা ছিল ১২ জন।
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি হলেও তৃতীয় ঢেউয়ের আগে আগে এই হার বেশ কম।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে ২৮ হাজার ১৭৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৮২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৫ জন।
প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতোই তৃতীয় ঢেউয়েও রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে ঢাকা বিভাগে। গত ২৪ ঘণ্টায় যত রোগী পাওয়া গেছে, তার ৭০ শতাংশের মতোই পাওয়া গেছে এই বিভাগে।
পৌনে ১১ হাজার রোগীর মধ্যে ৭ হাজার ৩৭৯ জনই এই বিভাগের।