বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পশুখাদ্যে ভেজাল রোধে সতর্ক হোন: ডিসিদের মন্ত্রী

  •    
  • ২০ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:৩১

ডিসিদের দেয়া নির্দেশনার বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘কারেন্ট জাল বা অন্যান্য জাল দিয়ে মাছ ধরা অথবা পশুখাদ্যে ভেজাল যাতে কেউ দিতে না পারে, মৎস্য উৎপাদন ও পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারের যেসব পরিকল্পনা আছে, সেগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন যাতে সহায়তা করে, সে বিষয়গুলোর প্রতি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’

পশুখাদ্যে ভেজাল রোধে সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও পরিবহনের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় অধিবেশনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নৌপরিবহন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি কারেন্ট জাল বা অন্যান্য জাল দিয়ে মাছ ধরা বন্ধ এবং নিষেধাজ্ঞাকালীন ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) সহায়তা সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করতেও ডিসিদের নির্দেশনা দেন।

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের আমার মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর, সংস্থাসমূহে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রান্তিক সীমা থেকে শুরু করে ক্যাপিটাল পর্যন্ত আমাদের মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদন, বিপণন প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যত কর্মকাণ্ড আছে, সেই কর্মকাণ্ডে তাদের দেখভাল করা, তদারকি করা এবং সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প যাতে যথাযথ বাস্তবায়ন হয়, কোনো প্রকল্পের অর্থ অপব্যবহার না হয়, সে জন্য তাদের অনুরোধ করেছি।

‘কারেন্ট জাল বা অন্যান্য জাল দিয়ে মাছ ধরা অথবা পশুখাদ্যে ভেজাল যাতে কেউ দিতে না পারে, মৎস্য উৎপাদন ও পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারের যেসব পরিকল্পনা আছে, সেগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন যাতে সহায়তা করে, সে বিষয়গুলোর প্রতি তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’

ভোগ্যপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সাফল্য অব্যাহত রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম উৎপাদনে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এরই ধারাবাহিকতা যাতে অব্যাহত রাখা যায়, সে ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের সব ধরনের সহযোগিতার জন্য আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। আমাদের মৌলিক জায়গা হচ্ছে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে মিঠাপানির মাছে তৃতীয় স্থানে, ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বের বিস্ময় সৃষ্টি করে সর্বোচ্চ উৎপাদনে। যেসব মাছ হারিয়ে গিয়েছিল, আমরা কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সেই মাছগুলোকে ফিরিয়ে এনেছি।

‘এই বিস্ময়কর সাফল্যের জায়গাটা যাতে আমরা ধরে রাখতে পারি, সে ক্ষেত্রে প্রশাসন যাতে সহায়তা করে, সে বিষয়গুলো আমরা তাদের দৃষ্টিতে এনেছি।’

ডিসিদের প্রস্তাবের বিষয়ে রেজাউল করিম বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের কিছু প্রস্তাব ছিল। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় যেসব ভেসেলে লাইসেন্স জরুরি না, সেগুলোকে কীভাবে ডিমার্ক করা যায়, আমরা সেখানে বলেছি, বাংলাদেশি সিম্বল দিয়ে আমরা তাদের ডিমার্ক করব। কোনো কোনো এলাকায় আধুনিক শুঁটকিপল্লি করা যায় কি না, সে প্রস্তাব ছিল। আমরা বলেছি, অবশ্যই করা যাবে।

‘কোনো কোনো এলাকায় নতুন করে কোনো উদ্যোগ নেয়া যায় কি না বা যেসব এলাকায় কোনো কাজ চলছে, তার ধরন পরিবর্তন করা যায় কি না, প্রশাসনকে কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায়, সে বিষয়গুলোতে আমরা বলেছি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কো-অপারেশন থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা (ডিসি) যেটা এক্সপেক্ট করেছে, তার অধিকাংশ আমাদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, তবে কিছু কিছু বিষয় আছে যেটা আইনে নেই। একটা প্রস্তাব ছিল সব নৌযানকে লাইসেন্স দেয়া যায় কি না। এখন সব নৌযান বলতে কিন্তু ছোট ছোট নৌযান আছে, তাদের লাইসেন্স দেয়ার বিধান নাই। আমাদের মৎস্য আইন রয়েছে, সমুদ্র আইন রয়েছে। আইনের বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করব না, তবে আইন না থাকলেও নীতিগতভাবে, প্রশাসনিকভাবে যেসব বিষয় প্রয়োজনীয়, সে বিষয়গুলো তারা যাতে গ্রহণ করতে পারেন, সে বিষয়ে আমরা মতামত দিয়েছি।’

জেলেদের মাছ ধরা বন্ধের সময় সহায়তার ক্ষেত্রে কিছু বৈষম্য হয়। সে ক্ষেত্রে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালীন যেসব মৎস্য আহরণকারী অসুবিধায় পড়তে পারেন, তাদের জন্য ভিজিএফের ব্যবস্থা করা হয়েছে; টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতীতে গতানুগতিক অবস্থা ছিল। আমি মন্ত্রণালয়ে আসার পর সব কার্ড আপডেট করেছি।

‘এখন থেকে ২০ বছর আগে যিনি মৎস্যজীবী ছিলেন তার মধ্যে অনেকে গার্মেন্টসের মালিক হয়ে গেছে। আবার অনেক অসহায় মৎস্যজীবীর নামটাই তালিকাভুক্ত হয়নি। কন্টিনিউয়াস একটি প্রসেস করেছি এবং সে ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসন, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসনের প্রধান যারা, তারা এটার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন, যাতে কোনো অনিয়ম না হয়।’

এ বিভাগের আরো খবর