বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিতু হত্যা: পিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ   

  •    
  • ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:৫০

বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাবুলের করা মামলা তদন্তের দায়িত্বে পিবিআইকেই রেখেছে আদালত। গত বছরের ১৪ নভেম্বর সিআইডিকে তদন্তভার দেয়ার আবেদন করেছিলাম। বুধবার শুনানি শেষে আদালত তা খারিজ করে দেয়।’

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলার তদন্তে থাকছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অন্য সংস্থাকে মামলাটি তদন্তের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবদুল হালিম বুধবার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাবুলের করা মামলা তদন্তের দায়িত্বে পিবিআইকে রেখেছে আদালত। গত বছরের ১৪ নভেম্বর সিআইডিকে তদন্তভার দেয়ার আবেদন করেছিলাম। বুধবার শুনানি শেষে আদালত তা খারিজ করে দেয়।’

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে।

ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

তবে বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুলকে দায়ী করে আসছিলেন।

শুরু থেকে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়।

তবে কিছু দিনের মধ্যে বদলে যেতে থাকে এই চিত্র। মিতু হত্যার প্রায় তিন সপ্তাহ পর ২০১৬ সালের ২৪ জুন খিলগাঁওয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আকতারকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরেই ছড়িয়ে পড়ে, বাবুলকে পুলিশ বাহিনী থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।

এর দেড় মাস পর বাবুল আকতার ৯ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন। তবে সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার পর মিতুর বাবা-মাও তার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেন। তবে এ বিষয়ে পুলিশ ছিল প্রায় নিশ্চুপ। এরপর আদালতের নির্দেশনায় গত বছর এ মামলার দায়িত্ব ডিবির কাছ থেকে বুঝে নেয় পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

প্রায় দেড় বছরের চেষ্টায় নতুন ক্লু পেয়ে মামলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় পিবিআই। ২০২১ সালের মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাবুলকে গ্রেপ্তারের আবেদন করেন তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় নতুন করে হত্যা মামলা করেন তিনি। এই মামলাতেই গত ১১ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর