ঢাকায় একটি ব্যাংকের বিভিন্ন বুথ থেকে তিন দিনে ৮৪ বার টাকা তোলার চেষ্টার পর গ্রেপ্তার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
১৯ জানুয়ারি বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম হাসিবুল হক এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া দুই আসামি হলেন তুরস্কের নাগরিক হাকান জানবুরকান এবং বাংলাদেশের নাগরিক মফিউল ইসলাম। এদের এটিএম কার্ড জালিয়াতির আন্তর্জাতিক চক্রের সদস্য বলছে পুলিশ।
পল্টন থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ।
তিনি নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
১৮ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর গুলশান-১ থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি বিভিন্ন মডেলের ফোন, একটি ল্যাপটপ, ১৫টি ক্লোন কার্ডসহ মোট ১৭টি কার্ড জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় সিটিটিসির উপপরিদর্শক পিটার বিশ্বাস পল্টন থানার মামলাটি করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার, পলাতক, অজ্ঞাতনামা আসামিসহ তিন-চারজন আসামি ১৩টি ক্লোন এটিএম কার্ড ব্যবহার করে।
পুলিশ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি, কানাডা, সৌদি আরব ও স্পেনে গিয়ে সেসব দেশের নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করে হাকান জানবুরকান টাকা তুলে নেন বুথ থেকে। এভাবে প্রায় ৪০টি দেশের বুথ থেকে টাকা তোলার পর বাংলাদেশে আসেন তিনি।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন হাকান জানবুরকান। এরপর গত ২-৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্টার্ন ব্যাংকের বিভিন্ন বুথে গিয়ে শতাধিকবার টাকা তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন।
ইস্টার্ন ব্যাংক তার অ্যান্টি ফেমিং টেকনোলজি ব্যবহার করায় অ্যালার্ম সিস্টেমের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারে। ফলে তারা হ্যাকারদের হাত থেকে স্কেমিং রোধ করতে সক্ষম হয়।